পলাশ (নরসিংদী) প্রতিনিধি

  ২৩ মে, ২০২২

৩৩ প্রাথমিকে নেই প্রধান শিক্ষক

নরসিংদীর পলাশে ৬৪টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ৩৩টিতে নেই প্রধান শিক্ষক। সহকারী শিক্ষকেরা ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে পাঠদান কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। এতে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে বলে মনে করছেন স্থানীয় অভিভাবকেরা। এদিকে ১৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক চলতি দায়িত্বে রয়েছে বলে জানায় উপজেলা শিক্ষা অফিস।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস জানায়, সরকারি নিয়োগের মাধ্যমে এসব পদ পূরণ করতে হবে অথবা প্রধান শিক্ষক পদে পদোন্নতি দিতে হবে। এ ছাড়া প্রধান শিক্ষকের শূন্য পদ পূরণের ক্ষেত্রে তাদের কোনো ভূমিকা রাখার সুযোগ নেই।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ৪টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায় ৬৪টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এর মধ্যে ৩৩টির প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য আছে। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের অফিস সহকারী ৩ জনের মধ্যে রয়েছে ১ জন।

উপজেলার ডাঙ্গা ইউনিয়নের খিলপাড়া, তালতলা, কেন্দুয়াব, জয়নগর ও চরসিন্দুরের আলীনগর, সুলতানপুর এবং চলনা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ঘুরে জানা গেছে, প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকের অভাবে ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষা কার্যক্রম। কয়েকজন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের সাথে আলাপকালে জানা গেছে, যেসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রধান শিক্ষক নেই, সেসব প্রতিষ্ঠানে সহকারী শিক্ষক দায়িত্ব পালন করছেন। সেই সহকারী শিক্ষকেরা প্রশাসনিক কাজ করতে গিয়ে ক্লাসে নিয়মিত অংশ নিতে পারেন না। এতে বাকি শিক্ষকদের ওপর চাপ পড়ছে এবং কোনো মতে চলছে শিক্ষা কার্যক্রম। তাছাড়া অনেক সহকারী শিক্ষকরা ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষককেই তেমন মূল্যায়ন না করায় চরমভাবে পাঠদান কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে বলেও ক্ষোভ প্রকাশ করেন অনেকে। তাছাড়া চরসিন্দুরের চলনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৭ জন শিক্ষকের স্থলে ৪ জন ও আলীনগর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৬ জন শিক্ষকের স্থলে তিনজন শিক্ষক দায়িত্ব পালন করছে। উপজেলার প্রায় বেশ কয়েকটি প্রাথমিক বিদ্যালয়েই শিক্ষকের সংকট রয়েছে। ফলে শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।

দক্ষিণ দেওড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির পলাশ উপজেলার সাধারণ সম্পাদক সুলতান উদ্দিন বলেন, ৬-৭ বছর ধরে সহকারী থেকে প্রধান শিক্ষক পদে কোনো পদোন্নতি দেওয়া হচ্ছে না। তাই এমন সংকট দেখা দিয়েছে। অনেক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করায় অনেক সময় অফিসের কাজে ব্যস্ত থাকার কারণে বিদ্যালয়ের স্বাভাবিক পাঠদানে ও সার্বিক কার্যক্রম চালাতে অনেক কষ্ট হচ্ছে।

এ বিষয়ে উপজেলার সহকারী শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ জহুরুল ইসলাম ও দিলরুবা ইয়াসমিন বলেন, ৩৩টি বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক নেই। তবে ১৫টি স্কুলে প্রধান শিক্ষক চলতি দায়িত্বে রয়েছে। সরকারি নিয়োগের মাধ্যমে এসব পদ পূরণ করতে হবে অথবা প্রধান শিক্ষক পদে পদোন্নতি দিতে হবে। এছাড়া প্রধান শিক্ষকের শূন্য পদ পূরণের ক্ষেত্রে আমাদের কোনো ভূমিকা রাখার সুযোগ নেই।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close