মাগুরা প্রতিনিধি

  ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২১

সফটওয়ার ইঞ্জিনিয়ারের মাল্টায় সাফল্য

মাগুরায় মাল্টা চাষে সাফল তরুণ উদ্যোক্তা মুন্না। বারি-১ জাতের সবুজ মাল্টার চাষ করে লাভবান হয়েছেন তিনি। সদরের জগদল ইউনিয়নের রূপাটি গ্রামে দুই একর জমিতে মাল্টা চাষ করেছেন তিনি। বাগানের প্রতিটি গাছে ঝুলছে সবুজ মাল্টা। প্রতিটি গাছে ২৫ থেকে ৩০টি করে মাল্টা ধরেছে।

তরুণ উদ্যোক্তা আশিকুর রহমান মুন্না জানান, সফটওয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়া শেষ করে ভালো চাকরি না পাওয়ায় পতিত জমিতে মাল্টা চাষ শুরু করেন। ২০১৬ সালে যশোরের ঝুমঝুমপুর নার্সারি থেকে ৩৫০টি চারা সংগ্রহ করে ৭৫ শতক জমিতে চাষ শুরু করেন। তারপর ২০১৭ সালে ৯৫ শতক জমিতে আরেকটি বাগান শুরু করেন। ২০২০ সালে দুটি বাগানে মাল্টা চাষে খরচ হয় ৩ থেকে ৪ লাখ টাকা। আর বিক্রি হয় সাড়ে ৫ লাখ টাকা। চলতি বছর আবহাওয়া অনুকূলে ছিল না। অতিবৃষ্টি ও তীব্র তাপদাহে মাল্টা বাগানে ফুল অনেকটা ঝরে গেছে। এ বছরও ফেব্রুয়ারি থেকে মার্চে যখন ফুল আসে তখন আবহাওয়া ভালো না থাকায় ফুল যখন ঝরে যায়। এরপরও গাছের পরিচর্চা করে জুনের প্রথমের দিক থেকে গাছে ফল আসতে শুরু করে। এবার ফলন কম হওয়ায় দুই বাগানে ৭০ থেকে ৮০ মণ মাল্টা হবে বলে আশা করছেন তিনি, যা বিক্রি হবে বাড়তি ২ থেকে ৩ লাখ টাকা। ঢাকা থেকে পাইকাররা বাগান থেকে মাল্টা নিয়ে যায়। তাছাড়া টাঙ্গাইল, মাদারীপুর, কুষ্টিয়া, রাজশাহীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় মাল্টা যাচ্ছে।

তিনি আরো জানান, চাহিদা ভালো হওয়ায় স্থানীয় বাজারে ফল ব্যবসায়ীরা বাগান থেকে মাল্টা ক্রয় করে নিয়ে যায়। এলাকার অনেক যুবক মাল্টা চাষে আগ্রহ দেখাচ্ছে। আগামীতে এ চাষে আরো ভালো সাফল্য পেতে অনেক পরিকল্পনা রয়েছে। মাল্টা চাষের পাশাপাশি আগামীতে মাছ চাষের পরিকল্পনা রয়েছে। কৃষি বিভাগও সব ধরনের সহযোগিতা করেছে। এছাড়া মাগুরা হর্টিকালচার সেন্টারের সাবেক উদ্যান তত্ত্ববিদ মো. মনিরুজ্জামান মাল্টা চাষে নানা কলাকৌশল সম্পর্কে অবহিত করেছেন।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক সুশান্ত কুমার প্রামাণিক জানান, জেলায় চলতি বছরে ১০ হেক্টর জমিতে বারি-১ জাতের মাল্টা চাষ হয়েছে। কৃষি বিভাগ থেকে মাল্টা চাষে চাষিদের উদ্ধুদ্ধ করা হচ্ছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close