গাইবান্ধা প্রতিনিধি
২৬ নভেম্বর, ২০২০
লেপ-তোশক তৈরিতে ব্যস্ত ধুনকরা

------
ধুনকরদের সঙ্গে কথা বলে আরো জানা গেল, বিশেষ করে শীতের মৌসুমে একজন ধুনকর দিনে ২ থেকে ৩টি লেপ এবং ৪ থেকে ৫টি তোশক তৈরি করতে পারেন। শীতের মৌসুম ছাড়া অন্য সময় চাহিদা কম থাকায় অর্থাভাবে তাদের পারিবারিক জীবন-জীবিকা নির্বাহ করা অত্যন্ত দুর্বিষহ হয়ে ওঠে।
অতীতে শিমুল তুলায় বালিশ এবং কার্পাস তুলায় লেপ ও তোশক তৈরি হতো। কিন্তু এখন শিমুল এবং কার্পাস তুলার সবররাহ অনেক কম হওয়ায় দাম যথেষ্ট বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে প্রতি কেজি সর্বনিম্ন শিমুল তুলা ২৮০ টাকা এবং কার্পাস তুলা সর্বনিম্ন ১৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ফলে সংগত কারণেই লেপ-তোশক বানানোর ক্ষেত্রে ক্রেতারা গার্মেন্টের ঝুট কাপড় এবং ব্লেজারের কাপড়ের টুকরো থেকে তৈরি বিশেষ জাতের তুলা দিয়েই লেপ ও তোশক বানানোর দিকেই ঝুঁকে পড়ছেন বেশি। কেননা প্রতি কেজি ব্লেজারের তুলার দাম পড়ে মাত্র ৩০ থেকে ৫০ টাকা। এছাড়া গার্মেন্টের অন্যান্য তুলার দাম পড়ে ৩০ থেকে ৪৫ টাকা পর্যন্ত। এতে লেপ ও তোশক বানানোর খরচ পড়ে অনেক কম। সে কারণে মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত পরিবারগুলো এই বিশেষ জাতের তুলা দিয়ে লেপ, তোশক, বালিশ ও জাজিম বানানোর দিকে ঝুঁকে পড়ছে বেশি।
উল্লেখ্য, গাইবান্ধা জেলা শহরে সমিতিভুক্ত ১১৫ জন পেশাদার ধুনকরা রয়েছে। বংশপরম্পরায় তারা সাবেক জেলা জজ কোর্টের পরিত্যক্ত এলাকাসহ পাশের টেনিস কোর্টে এবং রাস্তার ধারেই পাটি বিছিয়ে খোলা আকাশের নিচে তুলাধোনা থেকে শুরু করে লেপ, তোশক, জাজিম বানানোর কাজ করে আসছেন।
"