মো. জহুরুল ইসলাম খোকন, সৈয়দপুর (নীলফামারী)

  ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২০

সৈয়দপুরে খাসজমি বেদখল

নেই অনুমোদন, তবু গড়ে উঠছে ভবন

নিয়ম না মেনে সৈয়দপুরে প্রতিদিনই গড়ে উঠছে বহুতল ভবন। খাস বা রেলের জমিতে নির্মিত হওয়া এসব বন বিমান চলাচলেও বাধা হতে পারে বলে শঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

জানা যায়, বিমানবন্দর থেকে ২৫ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত বহুতল ভবন নির্মাণ না করার নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তবে যদি কেউ বহুতল ভবন নির্মাণ করতে চান তাহলে সিভিল অ্যাভিয়েশন কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে পৌরসভায় নকশা পাস করতে হবে। আবার রেলের অনুমতি ছাড়া স্থাপনা নির্মাণকারীদের আইনের আওতায় নেওয়ারও কঠোর নির্দেশনা রয়েছে। কিন্তু কে শোনে কার কথা।

শহরবাসী বলছেন, ১৫ বছর আগেও এই শহরে ছিল না পাঁচতলা ভবন। কিন্তু বর্তমানে বহুতল ভবনের ছড়াছড়ি। এসব ভবনের মালিকরা সিভিল অ্যাভিয়েশন বা রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে অনুমোদন নেননি। অভিযোগ রয়েছে রেলওয়ে বা খাস জমির ওপর বহুতল ভবন বা যেকোনো স্থাপনা নির্মাণ করতে গেলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ও নকশা নিয়ে স্থাপনা নির্মাণ করতে পারবেন। কিন্তু ভবন মালিকরা পৌরসভা থেকে অর্থের বিনিময়ে নকশা অনুমোদন নিয়ে রেলের বা খাস জমিতে তা নির্মাণ করে চলেছেন। আবার অনেকে তিন থেকে চারতলার নকশা অনুমোদন নিয়ে পাঁচ থেকে ছয়তলা ভবন নির্মাণ করছেন। কেউ নকশা বা অনুমোদন না নিয়েই নির্মাণ করছেন নানা স্থাপনা। এসব বিষয়ে অভিযোগ দিলে পৌর কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নিতে নোটিস দিলেও কাউন্সিলররা স্থাপনা নির্মাণে মদদ দিচ্ছেন।

রেলওয়ের বিভাগীয় ভূমি কর্মকর্তা নুরুজ্জামান জানান, সৈয়দপুর শহরে রেলওয়ের জমিতে যতগুলো ভবন বা বহুতল ভবন নির্মাণ হয়েছে তার বেশির ভাগই অবৈধ। দখলকারীরা রেলের জমি অবৈধভাবে দখল করে এবং কোনো প্রকার অনুমোদন বা নকশা না নিয়ে বহুতল ভবন নির্মাণ করেছেন।

এ বিষয়ে পৌর মেয়র আমজাদ হোসেন সরকার জানান, শহরের উন্নয়নের স্বার্থেই গুরুত্বপূর্ণ কিছু জায়গায় বহুতল ভবন নির্মাণের অনুমতি ও নকশা দেওয়া হয়েছে। এসব ভবন মালিকরা অনুমোদন ও নকশা না নিয়ে স্থাপনা বা বহুতল ভবন নির্মাণ করেছেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ারও পরিকল্পনা রয়েছে। তবে শহরে কতগুলো বহুতল ভবন নির্মাণ হয়েছে তার জবাব দেননি তিনি।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close