গলাচিপা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি

  ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২০

গলাচিপায় বর্ষা মৌসুমে তরমুজের বাম্পার ফলন

পটুয়াখালীর গলাচিপায় বর্ষা মৌসুমে তরমুজ চাষ করে সফলতার মুখ দেখেছেন চাষি জাহাঙ্গীর ফরাজী। উপজেলার গ্রামর্দ্দন গ্রামে ২০ শতক জমিতে তরমুজ চাষ করে ভালো ফলনে লাভের বিষয়ে আশাবাদী তিনি। মাত্র ২০ হাজার টাকা খরচ করে তরমুজ চাষ করে ৪ লাখ টাকার বেশি বিক্রি করার স্বপ্ন দেখছেন তিনি। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, উপজেলার রতনদি তালতলী ইউনিয়নের গ্রামর্দ্দন গ্রামের আবদুল মজিদ ফরাজীর ছেলে জাহাঙ্গীর ফরাজী তার ২০ শতক জমিতে মাটির বেড তৈরি করে তরমুজের বীজ বপন করেছেন।

মাটির বেডের ওপরে কট সুতার জাল দিয়ে মাচা তৈরি করে দিয়েছেন যাতে তরমুজ গাছের লতা মাচার ওপরে বাড়তে পারে। মাচার সাহায্যে বেড়ে উঠা শূন্যে ঝুলে থাকা প্রতিটি তরমুজ আবার বাজারের নেট জালি দিয়ে বেঁধে রাখা হয়েছে। প্রতিটি তরমুজের ওজন সাত থেতে আট কেজি। প্রতিদিন ওই অঞ্চলের বিভিন্ন এলাকা থেকে নানা বয়সের লোকজন জাহাঙ্গীর ফরাজীর তরমুজ খেত দেখতে এসে ভিড় করেন। এতে অনেকেই তরমুজ চাষে আগ্রহ প্রকাশ করেন। ফলে আগামী বছরে এ অঞ্চলে বর্ষা মৌসুমে তরমুজের চাষ বেড়ে যাবে বলে অনেকেই ধারণা করছেন। তরমুজ চাষি জাহাঙ্গীর ফরাজী জানান, তরমুজ চাষে তার ২০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। আষাঢ় মাসের প্রথম দিকে তিনি তরমুজের চাষ শুরু করেন। আশ্বিন মাসের প্রথম দিকে তিনি ১ হাজার পিস তরমুজ জালি দিয়ে বেঁধেছেন।

৬০ টাকা কেজি দরে প্রতিটি তরমুজের বাজার মূল্য হবে ৪২০ থেকে ৪৮০ টাকা। ওই হিসাবে কম হলেও তার তরমুজ বিক্রিতে ৪ লাখ টাকার ওপরে লাভ হবে। জাহাঙ্গীর ফরাজী বলেন, বর্ষা মৌসুমে তরমুজের এমন বাম্পার ফলন হবে বিষয়টি আমি ভাবতেও পারিনি। আমার ব্যক্তিগত উদ্যোগ ও কঠোর পরিশ্রমের ফলেই আমি সফলতা পেয়েছি। আগামী ১৫ দিন পরে খেতের সব তরমুজ বাজারে বিক্রি করা যাবে। এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এ আর এম সাইফুল্লাহ বলেন, নিঃসন্দেহে জাহাঙ্গীর একটি ভালো উদ্যোগ নিয়েছেন। একাধিকবার তার তরমুজ খেত আমি পরিদর্শন করেছি। বর্ষা মৌসুমে জাহাঙ্গীরের মতো অন্য কৃষকদেরও তরমুজ চাষে উৎসাহিত করা হবে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close