এ মএ মাসুদ, সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা)

  ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২০

সুন্দরগঞ্জে আঞ্চলিক মহাসড়কের বক্স কালভার্ট

কালভার্ট বন্ধ করে মাটি ভরাট বন্যা ও ফসলহানির শঙ্কা

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে বাড়ি নির্মাণের জন্য বক্স কালভার্টের মুখ বন্ধ করে দিয়েছেন এক মার্কিন প্রবাসী। এতে করে শতাধিক বসতবাড়িতে পানি উঠে যাওয়াসহ অন্তত হাজার বিঘা জমির ফসলহানির আশঙ্কা রয়েছে।

সুন্দরগঞ্জ-মীরগঞ্জ-রংপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের কুড়িপাড়া নামক স্থানে বছর চারেক আগে বক্স কালভার্ট নির্মাণ করে সুন্দরগঞ্জ উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর (এলজিইডি)। স্থানীয়ভাবে বন্যা প্রতিরোধ ও বৃষ্টির পানি নিষ্কাশনের জন্য নির্মিত একমাত্র বক্স কালভার্টের সম্মুখ ভাগে মাটি কেটে ভরাট করেছেন ওই এলাকার মৃত চিত্ত চন্দ্র সরকারের পুত্র মার্কিন প্রবাসী নয়ন চন্দ্র সরকার।

সরেজমিনে দেখা যায়, কালভার্টের মুখ ভরাট করে বাড়ি নির্মাণ হলে কুড়িপাড়া ও দোলাপাড়ার উজানে থাকা শতাধিক বসতবাড়িতে পানি উঠে যেতে পারে। এছাড়া ফসলি জমিতে জলাবদ্ধতার আশঙ্কা রয়েছে। এমনকি পানির চাপে রাস্তায় ভাঙ্গন ধরবে বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

স্থানীয়রা জানান, কুড়িপাড়া ও দোলাপাড়াসহ উজানের এলাকাটি নীচু। তাই এখানকার বসতবাড়িসহ ফসলি জমি ভারি বৃষ্টি ও বন্যার কবল পড়ে তলিয়ে যেতে পারে। এ থেকে রক্ষা করার জন্য একটি কালভার্ট নির্মাণ করে এলজিইডি কর্তৃপক্ষ। তখন উদ্দেশ্য ছিল বর্ষায় যেন সড়কের দুই পাশের বন্যা ও বৃষ্টির পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা ঠিক থাকে। সেই সঙ্গে পাশাপাশি ফসলের ক্ষতি যেন না হয়। কিন্তু বছর দুইয়েক আগে ওই প্রবাসী জনৈক বৃন্দাবন সাহার নিকট থেকে কালভার্টের সম্মুখভাগে ১ হাজার ৪০০ জমি ক্রয় করেন প্রবাসী নয়ন চন্দ্র। গতবছর ওই প্রবাসীর ভাই চন্দন চন্দ্র সরকার বালু উত্তোলন করে কালভার্টের মুখ বন্ধ করার চেষ্টা করলে সুন্দরগঞ্জ এলজিইডির সহকারী প্রকৌশলী তপন কুমার চক্রবর্তী স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতায় তা বন্ধ করে দেন। কালভার্টের মুখ বন্ধে নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্বেও চন্দন চন্দ্র ওই জমিতে মাটি ভরাটের কাজ সম্পন্ন করেছেন।

শচীন চন্দ্র মোদক, চন্দ্র কুমার মোদকসহ এলাকার একাধিক কৃষক এ প্রতিবেদককে জানান, ‘ওই কালভার্টটির মুখ বন্ধ করা হলে শতাধিক হিন্দু পরিবারের বাসস্থানসহ অন্তত হাজার বিঘা জমি পানির নিচে তলিয়ে যাবে। ঘটবে ফসলহানি।

প্রবাসীর ভাই চন্দন কুমার বলেন, ‘আমি ওই কালভার্টের ৭/৮ ফুট জায়গা ফাঁকা রাখবো। তবে ভবিষ্যতে যদি বন্ধ করে দেই তখন পানি নিষ্কাশনের জন্য একটা কালভার্টের ব্যবস্থা করে দিব।’

জানতে চাইলে ইউএনও মো. সোলেমান আলী জানান, ‘কালভার্ট যাতে বন্ধ না হয় সেজন্য দ্রুত তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close