সিংড়া (নাটোর) প্রতিনিধি
ধানে চিটা : হতাশায় চলনবিলের কৃষক পরিবার
নাটোরের সিংড়ায় হতাশায় দিন গুনছে চলনবিলের সাড়ে তিন লাখ কৃষক পরিবার। গত বছর আগাম বন্যা ও পাহাড়ি ঢলের পর চলতি বোরো মৌসুমে ধানের শীষে কালো চিটায় কৃষকের চোখে মুখে হতাশার ছায়া নেমে এসেছে। অতিরিক্ত শিলাবৃষ্টি ও ঝড়ের কারণে বোরো ধানের শীষে কালো চিটা দেখা দিয়েছে বলে ধারণা করছেন কৃষকরা।
তাদের অভিযোগ, কৃষি অফিস সঠিক পরামর্শ দিচ্ছে না। তবে কৃষি অফিসের দাবি, কৃষকদের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে তারা কাজ করে যাচ্ছেন তারা।
জানা গেছে, চলতি বছর নাটোরের পাঁচটি উপজেলায় ৬১ হাজার ৪৩৫ হেক্টর ও তাড়াশে ৫ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ করা হয়েছে। বোরো ধানের জমিগুলোতে শীষ বের হচ্ছে। কিন্তু এরমধ্যে অনেক জমিতে ধানের শীষে কালো চিটার ফলন নিয়ে হতাশ হয়ে পড়েছেন কৃষকরা।
আগতিরাইল গ্রামের কৃষক রুহুল আমিন, বড়িয়া গ্রামের রাজু আহমেদ, গোয়ালবাড়িয়া গ্রামের ইউসূব আলী ও রামান্দ খাজুরা ইউনিয়নের শাহ্ আলম বলেন, গত বছর আগাম বন্যায় কৃষকের স্বপ্নের ফসল পানিতে ডুবে যায়। আর এবার ধানে কালো চিটা দেখা দিয়েছে। অন্যের কাছ থেকে ধারদেনা, এনজিও’র ঋণ এবং স্ত্রী-কন্যার গহনা বন্দক রেখে চড়া সুদে টাকা নিয়ে বোরো আবাদ করতে হয়েছে। ধানে চিটা দেখে হতাশায় দিন গুনতে হচ্ছে।
নাটোর জেলা কৃষি সম্প্রসারন কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম জানান, শিলাবৃষ্টি ও পরপর কয়েকটি ঝড়ো হাওয়ায় ধানের শীষে ঠিকমতো পরাগায়ণ হয়নি। ফলে ধানে চিটা দেখা দিয়েছে।
"