মাসুদ রানা, মহম্মদপুর (মাগুরা)
অতিথি পাখির কলতানে মুখর ঘোপ বাঁওড়
অতিথি পাখির কলতানে মুখরিত হয়ে উঠেছে মাগুরার মহম্মদপুরের ঘোপ বাঁওড়। মৃদু শীতের আগমন শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই সাইবেরিয়া থেকে এসব পাখি ছুড়ে আসতে শুরু করে ঘোপ বাওড়ে। ভোর থেকেই ঘোপ বাওড়ের মধ্যে পাখিদের কোলাহল, কলরব, ডানা মেলে অবাধ বিচরণ ও ঝাঁক বেধে উড়াউড়ি নজর কেড়েছে এলাকার লোকজনের। বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রতিদিনই লোকজন ছুটে আসছে এসব অতিথি পাখি দেখতে।
মহম্মদপুরের ঘোপ বাঁওড়, নালিয়ার বিল, ফলের বিল, কাঁনার বিল, ইছামতির বিলসহ বেশ কয়েকটি বিলেও আসতে দেখা গেছে হরেক রকমের দেশি-বিদেশি অতিথি পাখি। রয়েছে বক, বালি হাঁস, পানকৌড়ে, শামুকভাঙ্গাসহ হরেক রকমের পাখি।
ঢাকার উত্তরা থেকে স্বপরিবারে পাখি দেখতে আসা মাহমুদুল ইসলাম মিলন বলেন, প্রতিবছরই শীতের মৌসুমে ঘোপ বাওড় ও ইছামতির বিলে আগত অতিথি পাখির মিলন মেলা দেখতে গ্রামে ছুটে আসি পরিবারসহ।
শৌখিন ও পেশাদার পাখি শিকারিরা বন্দুক ও নানা ফাঁদ পেতে দেশি ও অতিথি পাখি যেন নিধন করতে না পারে সেদিকে প্রশাসনকে বিশেষ নজর রাখার আহ্বান জানান তিনি। কারণ ফসলি জমিতে ক্ষতিকর পোকামাকড় খেয়ে জীববৈচিত্র্য রক্ষা করে এসব অতিথি পাখি। পাখি নিধনে দ-ের বিধান থাকলেও প্রায়ই ক্ষেত্রে তার যথাযথ প্রয়োগ না থাকায় নানাভাবে প্রাণী নিধনের সংখ্যা বাড়ছে।
ইউএনও মুহাম্মদ সাদিকুর রহমান বলেন, প্রতিবছর এই সময়ে বিভিন্ন মৎস্য ঘের, বাওড় ও বিলাঞ্চলের জলাশয়ে আহার যোগাতে বক, বালিহাঁস, পানকৌড়িসহ বিভিন্ন প্রজাতির অতিথি পাখির আগমন ঘটে। এসব পাখি কোন শিকারি যেন শিকার না করতে পারে সে ব্যাপারে প্রশাসন যথেষ্ট তৎপর রয়েছে।
ঘোপ বাওড়ের বাসিন্দ ও ইউপি সদস্য বশির বলেন, শীতের শুরুতেই বিলের পানি নেমে যায়। এসময় অল্প পানিতে খাবার সংগ্রহের জন্য প্রচুর দেশি ও অতিথি পাখি আসে। অতিথি পাখির আগমনে মুখরিত হয়ে ওঠে ঘোপ বাঁওড়। বিভিন্ন এলাকা থেকে লোকজন ছুটে আসে এসব পাখি দেখতে। উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা মানবেন্দ মজুমদার প্রতিদিনের সংবাদকে বলেন, অতিথি পাখি জীববৈচিত্র্য রক্ষায় ব্যাপক ভূমিকা রাখে। পরিবেশবান্ধব এসব পাখির অস্তিত্ব রক্ষার দায়িত্ব আমাদের সবারই।
"