চট্টগ্রাম ব্যুরো

  ১২ মে, ২০২২

ভোজ্য তেলের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি

প্রশাসনের তৎপরতা জোরদারের দাবি

দেশে চাহিদার চেয়েও বেশি পরিমাণে ভোজ্য তেল থাকা সত্ত্বেও কৃত্রিম মজুদের কারণে কাটছে না সংকট। চট্টগ্রামে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কিছু তৎপরতা চোখে পড়লেও জেলা প্রশাসনের বাজার মনিটরিং কার্যক্রম জোরালো করার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন ভুক্তভোগীরা।

দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম পাইকারি বাজার চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে ঈদের আগের চেয়ে এখন তেলের দাম কমেছে। আগে যে খোলা সয়াবিন তেল মণপ্রতি সাড়ে ৭ হাজার টাকা ছিল, গত ৯ মে তা বিক্রি হয়েছে ৭ হাজার ২০০ টাকায়। একইভাবে পাম তেল ৬ হাজার ৫০০ টাকা বিক্রি করা হলেও সোমবার বিক্রি হয়েছে ৬ হাজার ২০০ টাকায়। দরের এই তারতম্যে দেখা যায়, খুচরা বাজারে দাম বাড়ানো হলেও পাইকারি বাজারে দাম ছিল নিম্নমুখী। কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) চট্টগ্রাম বিভাগীয় সভাপতি এস এম নাজের হোসাইন বলেন, আমদানিকারক, সরকার সবার পক্ষে কথা বলার জন্য লোক আছে, মিডিয়া আছে। কিন্তু ভোক্তাদের পক্ষে কেউ নেই। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর মাঝেমধ্যে মনিটরিং করছে। প্রশাসনের আর কোনো সংস্থাকে মাঠে দেখা যাচ্ছে না।

সরকার ও ব্যবসায়ী সংগঠনগুলোর হিসাবমতে, দেশে বছরে ২০ লাখ টন ভোজ্য তেলের চাহিদা রয়েছে। কিন্তু সারা দেশে ভোজ্য তেলের সংকট দেখা দিলেও চলতি ২০২১-২০২২ অর্থবছরে চাহিদার এক-তৃতীয়াংশের বেশি ভোজ্য তেল আমদানি হয়েছে। হিসাবে গত ১৫ মার্চ থেকে ৮ মে পর্যন্ত ৫৪ দিনে আমদানি হয়েছে ৪ লাখ ৯১ হাজার ৩০৩ টন তেল। এরমধ্যে পাম তেল ৩ লাখ ১৬ হাজার ৬৪৩ টন। সয়াবিন তেল ১ লাখ ৭৪ হাজার ৬৬০ টন। এখনো অর্ধেকের বেশি বন্ডেন্ড ট্যাংক থেকে খালাস নেননি মিলাররা।

এদিকে, খোলা সয়াবিন তেল ও পাম অয়েল পুরোনো দামে কিনে বেশি দামে বিক্রির অপরাধে চট্টগ্রামের কর্নেলহাটে ২ দোকানিকে জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর চট্টগ্রামের কর্মকর্তারা। গতকাল বুধবার দুপুরে নগরীর কর্নেলহাটে বিভিন্ন দোকানে অভিযানে নেমে এ জরিমানা করা হয়।

ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. দিদার হোসেন বলেন, কর্নেলহাটে বাড়তি দামে খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি করায় মেসার্স জামাল অ্যান্ড ব্রাদার্সকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এ ছাড়া অবৈধভাবে ১৭০ লিটার তেল মজুদ করে রাখার অপরাধে আরো একটি প্রতিষ্ঠানকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় এবং মজুদকৃত তেল তৎক্ষণাৎ ভোক্তাদের কাছে সরকার নির্ধারিত মূল্যে বিক্রি করে দেওয়া হয়। তিনি বলেন, আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। অবৈধভাবে কেউ যাতে দ্রব্যমূল্যের দাম বাড়াতে না পারে, তা নিয়ে ভোক্তা অধিকার সবসময় তৎপর রয়েছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close