রংপুর ব্যুরো ও গঙ্গাচড়া প্রতিনিধি

  ০৪ জুন, ২০২৩

রংপুরে বন্দোবস্তের জমি দখলের পাঁয়তারা

রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার বড়বিল ইউনিয়নের উত্তর পানাপুকুর মৌজায় সরকারিভাবে বন্দোবস্ত পাওয়া জমি দখলের পাঁয়তারা করছে মিজানুর রহমান রুহুল নামে এক ব্যক্তি। দীর্ঘ প্রায় ৪৫ বছর ধরে দখলে রেখে চাষাবাদ করে আসার পর এখন ওই জমি বেদখল করতে তিনি ষড়যন্ত্র করছেন বলে অভিযোগ বন্দোবস্ত পাওয়া জমির মালিকদের।

জানা যায়, বড়বিল ইউনিয়নের উত্তর পানাপুকুর মৌজায় সরকারি কয়েক একর খাস জমি রয়েছে। এর মধ্যে উত্তর পানাপুকুর এলাকার আকবর আলী, মোহাম্মদ আলী ও মাছুম আলী প্রত্যেকে নিজ নিজ নামে ১ দশমিক ৩৭ একর জমি জমি শর্ত মেনে বন্দোবস্ত নেন। শর্ত সঠিকভাবে মেনে চললে ১৫ বছর অতিক্রম হওয়ার পর বন্দোবস্ত সরকারি বিধি অনুযায়ী স্থায়ী মালিকি বন্দোবস্তে পরিণত হবে। কিন্তু দলিলে শর্তসমূহ অথবা কোনো একটি শর্ত ভঙ্গ করলে বন্দোবস্ত নাকচ বলে গণ্য হবে এবং যে কোনো সময় বন্দোবস্তকৃত জমি বা জমির কোনো অংশ সরকারের প্রয়োজনে দখল নিতে পারবে।

বন্দোবস্ত পাওয়া জমি মালিক আজিজার রহমান, আবু বক্কর ও আবদুল মোন্নাফ বলেন, সরকারের দেওয়া সব শর্ত মেনে বন্দোবস্ত পাওয়া জমিতে চাষাবাদ করছি। শর্ত সঠিকভাবে মেনে চলায় ১৫ বছর পর সরকারি শর্ত অনুযায়ী বন্দোবস্ত জমি স্থায়ী বন্দোবস্ত হয়। সে মোতাবেক জমি ভোগ দখলকারীদের নামে ১৯৯২ সালে আলাদা খতিয়ান নম্বরে নামভুক্ত হয়। নিজ নিজ নামে আরএস খতিয়ানে হওয়ার প্রায় তিন দশকের কাছাকাছি হচ্ছে। কারণ এত বছর আমরা সরকারি শর্ত ভঙ্গ করিনি। কিন্তু কিছুদিন থেকে এলাকার একটি চক্র আমাদের ওই জমি তাদের দখলে নেওয়ার জন্য ষড়যন্ত্র করে আসছে। ষড়যন্ত্রের ধারাবাহিকতায় তারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছে।

ওই পরিবারের গোলাম আজিজ বলেন, মিজানুর রহমান রুহুল আমার কাছে বিভিন্ন সময় মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করেন। আমি টাকা দিতে রাজি না হলে আমার পরিবারের লোকজনের নামে মিথ্যা মামলাসহ বিভিন্ন হয়রানির হুমকি দেন। মিজানুর তার বাবা সাইয়েদুল ইসলামকে বাদী করে আমাদের নামে বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার মিথ্যা মামলা দায়ের করেন। পরে আমরা ওই মামলা থেকে অব্যাহতি পেয়েছি।

এ ব্যাপারে সহকারী কমিশন (ভূমি) নয়ন কুমার সাহা বলেন, অভিযোগের প্রেক্ষিতে আমি সরেজমিনে গিয়েছিলাম এবং বন্দোবস্ত পাওয়া জমির কাগজপত্র নিয়েছি। প্রতিবেদন আকারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হবে। গণভবনে করপোরাল পদে চাকরির পরিচয় দিয়ে মিজানুর রহমান নামে এক ব্যক্তি মোবাইল ফোনে আমাকে গিড়িয়া ও ভুটকি বিলে বন্দোবস্ত পাওয়া খাস জমি উদ্ধারের দাবি জানিয়েছেন।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close