ক্রীড়া প্রতিবেদক

  ১৭ মার্চ, ২০২৩

হারল মোহামেডান

বিজয়ের সেঞ্চুরিতে আবাহনীর জয়

বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ ক্রিকেটে দেখা গেছে বড় রানের ম্যাচ। মিরপুর শেরেবাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ৩৭২ রানের পাহাড়সম পুঁজি গড়ে ১২৪ রানের বড় জয় পেয়েছে শিরোপাপ্রত্যাশী আবাহনী। নাঈম শেখকে নিয়ে দুর্বার উদ্বোধনী জুটি গড়লেন এনামুল হক বিজয়। নাঈম হাতছাড়া করলেও বিজয় থামলেন সেঞ্চুরি করে। আফিফ হোসেন, মোসাদ্দেক হোসেন আর জাকের আলি অনিকও তুললেন ঝড়। আবাহনী গড়ল বিশাল পুঁজি। মিজানুর রহমান সেঞ্চুরি করলেও যার নিচে চাপা পড়েছে ব্রাদার্স ইউনিয়ন। আবাহনীর রান উৎসবের দিনে আরেক ম্যাচে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের কাছে বিধ্বস্ত হয়েছে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। রনি তালুকদার ছাড়া গাজীর পাহাড় পেরোনোর চ্যালেঞ্জ জানাতে পারেননি কেউ।

বৃহস্পতিবার ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ ক্রিকেটে দেখা গেছে বড় রানের ম্যাচ। মিরপুর শেরেবাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ৩৭২ রানের পাহাড়সম পুঁজি গড়ে ১২৪ রানের বড় জয় পেয়েছে শিরোপাপ্রত্যাশী আবাহনী। আবাহনীর জয়ে সবচেয়ে বড় অবদান আগের মৌসুমে প্রাইম ব্যাংকের হয়ে রেকর্ড রান করা বিজয়ের। নতুন মৌসুমে নেমেই ছন্দ ধরে রেখেছেন তিনি। ১১৮ বলে ৬টি করে চার-ছক্কায় তিনি করেন ১২৩ রান। নাঈম করেন ৭৪ বলে ৮৫, আফিফের ব্যাট থেকে আসে ৪৭ বলে ৬৫ রানের ঝড়ো ইনিংস। অধিনায়ক মোসাদ্দেক ২৭ বলে ৪৬ ও জাকের ১১ বলে করেন ২৬ রান। ৩৭৩ রান তাড়ায় নেমে কখনোই ম্যাচে ছিল না ব্রাদার্স। তাদের অধিনায়ক মিজানুর ১১৬ বলে ১০২ আর মাইশুকুর ৯৯ বলে করেন ৭৩। এত বড় পুঁজি তাড়া করে জেতার তাড়না খুব একটা দেখা যায়নি তাদের মাঝে। পুরো ৫০ ওভার ব্যাট করে দলটি নেতিবাচক ব্যাটিং অ্যাপ্রোচে করে ২৪৮ রান।

সকালে টস হেরে ব্যাট করতে গিয়ে রানে ভরা বাইশগজের পুরো ফায়দা কাজে লাগান বিজয়-নাঈম। ওপেনিং জুটিতেই ২৫.৩ ওভারে আনেন ১৫৭ রান। চরিত্রের বিপরীতে গিয়ে আগ্রাসী খেলা নাইম ৭৪ বলে ৮৫ করে থামলেও চালিয়ে যান বিজয়। একশর ওপর স্ট্রাইকরেট রেখে সেঞ্চুরি পান তিনি। আফিফ, মোসাদ্দেক আর জাকের নেমে খেলেছেন টি-টোয়েন্টি। তাদের তাণ্ডবে এলোমেলো হয়ে যায় ব্রাদার্সের বোলিং। একপেশে ম্যাচের কোনো পর্যায়েই লড়াইয়ের ঝাঁজ তৈরি করতে পারেনি তারা।

ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামেও দেখা গেছে বড় রান। কেউ সেঞ্চুরি না করলেও গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স পেয়ে যায় ৩৪৯ রানের বড় পুঁজি। যার জবাবে ২২১ রানেই গুটিয়ে যায় ঢাকঢোল পিটিয়ে দল করা মোহামেডান। মোহামেডান ম্যাচ হারে ১২৮ রানে। বিধ্বস্ত হওয়ার দিনে মোহামেডানকে টেনেছেন কেবল মাত্র ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলা রনি। সকালে মোহামেডানও টস জিতে ব্যাট করতে দিয়েছিল গাজীকে। দুই ওপেনার মেহেদী মারুফ আর হাবিবুর রহমান সোহান শুরু করেন টি-টোয়েন্টি স্টাইলে। নবম ওভারে দলের ৭৪ রানে হাবিবুর যখন ফেরেন ২২ বলে ৩৪ রানের ঝড় তুলে। আরেক ওপেনার মেহেদী মারুফও থিতু হয়েই থামেন। ৩২ বলে তার ব্যাট থেকে আসে ২৯। তিনে নামা ফরহাদ হোসেন খেলা মথর করে দেন। ৩৯ রান তুলেন তিনি ৫৪ বলে। চারে নেমে ভারতীয় রবি তেজা ৭৯ বলে করেন ৬৬ রান।

তবে গাজীর রান পাহাড়ে ওঠা শুরু এরপর থেকে। অধিনায়ক আকবর আলি ৫৪ বলে ৫৯। এস এম মেহরুব হাসান ৪৩ বলে ৬২ আর শেষ দিকে মাহমুদুল হাসান নেমে স্রেফ ১৩ বলে করেন ২৭ রান।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close