ক্রীড়া প্রতিবেদক
শেষ বিকালে দুঃস্বপ্ন
আবারও মুশফিক-লিটনেই ভরসা
তৃতীয় সেশনে শ্রীলঙ্কাকে অলআউট করে বাংলাদেশ। তার আগেই প্রথম ইনিংসে বড় ব্যবধানে এগিয়ে যায় অতিথিরা। দিমুথ করুনারতেœদের জন্য বাড়তি পাওয়া হয়ে এসেছে স্বাগতিক ব্যাটারদের ব্যর্থতা। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমেই ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয় বাংলাদেশ। রীতিমতো পরাজয়ের প্রহর গুনছে রাসেল ডোমিঙ্গোর শিষ্যরা।
টানা দুই সেশন ভোগার পর স্বস্তি পায় বাংলাদেশ। ম্যাথুস ১২৩ এবং চান্দিমাল ১২০ রান নিয়ে শেষ সেশনে ব্যাট করতে নামেন। শুরুতেই এবাদত হোসেনের বলে তামিম ইকবালের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান চান্দিমাল। আগের সেশনের সাথে মাত্র এক রান যোগ করতে পেরেছেন সাবেক অধিনায়ক।
চান্দিমালের বিদায়ের পর শ্রীলঙ্কার ব্যাটিং লাইনে মড়ক লাগে। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে সফরকারীরা। এক প্রান্তে দাঁড়িয়ে থেকে নিরোশান ডিকওয়েলা, রমেশ মেন্ডিস, প্রভিন জয়াবিক্রমা, আসিথা ফার্নান্দোদের আসা যাওয়া দেখেছেন ম্যাথুস। শেষ পর্যন্ত ৫০৬ রানে অলআউট হয় লঙ্কানরা। ১৪৫ রানে অপরাজিত থাকেন ম্যাথুস। ৯৬ রান খরচায় পাঁচ ব্যাটসম্যানকে ফেরান সাকিব।
১৪১ রানে পিছিয়ে থেকে শুরুতেই তামিম ইকবাল খানকে হারায় স্বাগতিকরা। কোনো রান করতে পারেননি ওয়ানডে দলপতি এবং এই বাঁহাতি ওপেনার। মুমিনুলও রানের খাতা খুলতে পারেননি। কাসুন রাজিথার শিকার হয়েছেন টেস্ট স্পেশালিস্ট ব্যাটার।
মাঝে রান আউটে কাটা পড়েন নাজমুল হোসেন শান্ত। মাত্র ২ রান করতে পেরেছেন তরুণ ক্রিকেটার। দুবার জীবন পেয়েও ১৫ রানের বেশি করতে পারেননি মাহমুদুল হাসান জয়। এরপর আর কোনো বিপদ হতে দেননি মুশফিক এবং লিটন। চতুর্থ দিনশেষে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ৪ উইকেট হারিয়ে ৩৪ রান করেছে বাংলাদেশ। মুশফিক ১৪ এবং লিটন ১ রান নিয়ে শেষদিন ব্যাট করতে নামবেন।
এর আগে টস জেতা বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসের শুরুটা হয় খুব বাজে। দলীয় ২৪ রানেই প্রথম সারির পাঁচ ব্যাটসম্যানকে হারায় রাসেল লাল সবুজের দল। এরপরও মুশফিকুর রহিম এবং লিটন কুমার দাসের অনবদ্য জুটির কারণে ভালো পুঁজি পায় দলটি। ষষ্ঠ উইকেট এই দুইজন যোগ করেন ২৭২ রান। সর্বোচ্চ ১৭৫ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন করে মুশফিক। লিটনের ব্যাট থেকে আসে ১৪১ রান। ৫ উইকেট নেন রাজিথা।
"