ক্রীড়া প্রতিবেদক

  ২৪ জুন, ২০২১

শেখ জামালের অনায়াস জয়

শুরুতে উইকেট তুললেন, মিডল অর্ডারেও আঘাত হানলেন। পেসার ইবাদত হোসেন রানও দিলেন না। তার দারুণ বোলিংয়ে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব আটকে গেল দেড়শোর অনেক আগে। রান তাড়ায় শঙ্কা জাগলেও দলে তীরে ভিড়িয়েছেন নুরুল হাসান সোহান আর তানভীর হায়দার।

মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের (ডিপিএল) ম্যাচে শেখ জামাল ধানমণ্ডি ক্লাব জিতেছে ৭ উইকেটে। গতকাল সকালের ম্যাচে মোহামেডান আগে ব্যাটিংয়ে নেমে করতে পারে মাত্র ১৩৩ রান। এক ওভার আগে সেই রান পেরিয়ে জিতেছে সোহানের দল। ম্যাচ জিতলেও লিগ শিরোপার দৌড়ে নেই শেখ জামাল। সুপার লিগে এই নিয়ে তিন ম্যাচের সবগুলো হারা সেই দৌড়ে নেই আগে থেকেই। মোহামেডানকে অল্প রানে আটকে ৪ ওভার বল করে মাত্র ১৭ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়েছেন ইবাদত। হয়েছেন ম্যাচসেরাও।

রান তাড়ায় শেখ জামালের চারজন রান পেলেও কাজের কাজটা করেছেন অধিনায়ক সোহান আর অলরাউন্ডার তানভীর। ৩১ বলে ৩৬ করে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন কিপার ব্যাটসম্যান সোহান। মাত্র ১৭ বলে ৩২ করে কঠিন সমীকরণ সহজ করে দেন তানভীর।

সহজ লক্ষ্য তাড়ায় প্রথম ওভারেই ছন্দে থাকা সৈকত আলিকে হারিয়েছিল শেখ জামাল। এরপর মোহাম্মদ আশরাফুল-ইমরুল কায়েসের জুটি জমে যায়। আশরাফুল বলে-রানে সমান রাখলেও ইমরুল ছিলেন কিছুটা আগ্রাসী। এই দুজনকে আলগা করতে চাপ বাড়ায় মোহামেডান। শুভাগত হোমের এক ওভারে চাপে পড়েই কাবু ইমরুল। কয়েকটি ডট বলের পর স্টাম্প ছেড়ে মারতে গিয়ে তিনি হন বোল্ড। ২১ বলে ২৫ করা ইমরুলের আউটে ভাঙে ৫৫ রানের জুটি।

আরেক প্রান্তে আশরাফুল হয়ে যান মন্থর। মাঝের ওভারে আসিফ হাসানকে মেডেন দিয়ে দেন তিনি। এক ছক্কায় কিছুটা পুষিয়ে দেওয়ার পর রানের আসিফের সোজা বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরেন ৪২ বলে ৩৮ করা এই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান।

এরপর খেলায় ফেরার সম্ভাবনা জাগিয়েছিল মোহামেডান। শেষ ৩০ বলে দরকার ছিল ৪৮ রান। তখনই মোড় ঘোরানো ব্যাটিং তানভীরের। সোহানকে ছাপিয়ে তিনিই হয়ে যান অগ্রণী। ইয়াসিন আরাফাত মিশু, আবু জায়েদ রাহীকে পিটিয়ে ম্যাচ করে দেন সহজ।

এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে গিয়ে আবদুল মজিদকে শুরুতে হারিয়ে ফেলে মোহামেডান। তিনে নেমে ইরফান শুক্কুর এদিন ঝড় তুলতে পারেননি। ১৮ বল খেলে ১৭ রান করে আউট হন। পারভেজ হোসেন ইমন পরে শামসুর রহমান শুভকে নিয়ে গড়েন জুটি। তৃতীয় উইকেটে দুজনের জুটিতে আসে ৬১ রান। শুরুতে থিতু হতে সময় নেওয়া পারভেজ পরে বড় শটে পুষিয়ে দিচ্ছিলেন। লেগ স্পিনার মিনাহাজুল আবেদীন আফ্রিদির বলে স্লোগ করতে গিয়ে ৩৫ বলে ৪৬ রানে বিদায় তার।

১৩তম ওভারে ওই উইকেটের পর মাহমুদুল হাসান লিমনকে নামিয়ে ভুল করে ঐতিহ্যবাহী ক্লাবটি। মাহমুদুল গুরুত্বপূর্ণ ওই সময়ে ১২ বল খুইয়ে করতে পারেন মাত্র ৩। শুভাগত হোম নেমে সেই চাপেই দ্রুত ক্যাচ দিয়ে বিদায়। পুরো টুর্নামেন্টে ব্যর্থ শামসুর ছিলেন ফিফটির কাছে। কিন্তু তার ৪০ বলে ৪৯ রানের ইনিংস শেষ হয়েছে ইবাদতের বলে কিপারের হাতে ধরা পড়ে। মোহামেডানেরও পাওয়া হয়নি ম্যাচ জেতার মতো পুঁজি।

সংক্ষিপ্ত স্কোর

মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব

১৩৩/৯, ২০.০ ওভার

শামসুর ৪৯, ইমন ৪৬

ইবাদত ৩/১৭, জিয়াউর ৩/২৯

শেখ জামাল ধানমণ্ডি ক্লাব

১৩৭/৩, ১৯.০ ওভার

আশরাফুল ৩৮, সোহান ৩৬*

শুভাগত ১/১৯, রাহী ১/২০

ফল : শেখ জামাল ৭ উইকেটে জয়ী

ম্যাচসেরা : ইবাদত (শেখ জামাল)

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close