আন্তর্জাতিক ডেস্ক

  ২৯ মে, ২০২০

চীনের বিরুদ্ধে শিগগিরই কঠোর ব্যবস্থা ট্রাম্পের

চীনের হংকং নিরাপত্তা আইন চালুর পরিকল্পনার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে যুক্তরাষ্ট্র কাজ করছে। সপ্তাহ শেষের আগেই এ সংক্রান্ত ঘোষণা আসতে চলেছে বলে জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

মার্কিন অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ল্যারি কাডলো মঙ্গলবার চীনের কর্মকা- ‘খুবই বিরক্তিকর’ এবং দেশটি ‘বড় ধরনের ভুল’ করছে বলে মন্তব্য করার পর ট্রাম্প এক সংবাদ ব্রিফ্রিংয়ে একথা জানালেন।

চীনের পার্লামেন্টে বৃহস্পতিবারই প্রস্তাবিত নিরাপত্তা আইন পাসের কথা রয়েছে। এ আইন চালু হলে হংকংয়ের বিশেষ স্বাধীনতা ক্ষুণœ হবে। তাছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের করা আইনে হংকং যে বিশেষ বাণিজ্য মর্যাদা পাচ্ছে তাও প্রশ্নের মুখে পড়বে। চীনকে ঠেকাতে কি ধরনের পদক্ষেপের কথা ভাবা হচ্ছে? নিষেধাজ্ঞা আরোপ নাকি চীনা ছাত্রছাত্রী এবং গবেষকদের জন্য ভিসা বন্ধ করা? হোয়াইট হাউজের নিউজ ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প বলেন, এখন কিছু একটা করা হচ্ছে এবং আগামী দিনগুলোতে তিনি সেটি নিয়ে কথা বলবেন। নিষেধাজ্ঞা আসছে কিনা তা আবারো জানতে চাওয়া হলে ট্রাম্প বলেন, ‘না, সপ্তাহ শেষের আগেই এ ব্যাপারে আপনারা জানতে পারবেন। এর আগে গত রোববার যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা রবার্ট ও’ব্রায়ান সিবিএস নিউজের ‘ফেস দ্য ন্যাশন’ প্রোগ্রামে হংকংয়ের জন্য প্রস্তাবিত নিরাপত্তা আইনকে কেন্দ্র করে চীনের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের হুমকি দিয়েছিলেন।

এরপরই চীন কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেছে, যুক্তরাষ্ট্র কোনো নতুন পদক্ষেপ নিলে এর পাল্টা ব্যবস্থা নেবে তারা। হংকং ইস্যু পুরোপুরি চীনের অভ্যন্তরীণ বিষয়; এক্ষেত্রে কোনো বিদেশি হস্তক্ষেপ মানা হবে না-সেকথাও স্মরণ করিয়ে দিয়েছে চীন। কিন্তু চীনের নিরাপত্তা আইনের বিষয়টি নিয়ে ট্রাম্প যে অসন্তুষ্ট হয়ে আছেন সেকথা আগেই জানিয়েছিলেন হোয়াইট হাউজের মুখপাত্র। ট্রাম্পের অর্থনৈতিক উপদেষ্টা কাডলো ‘ফক্স নিউজ’ চ্যানেলে বেইজিংয়ের এ পদক্ষেপকে ‘বিরাট ভুল’ বলে সমালোচনা করেছেন এবং বলেছেন, যেসব আমেরিকান কোম্পানি চীন থেকে ব্যবসা গুটিয়ে নিতে চায় তাদের পাশে থাকবে ওয়াশিংটন।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close