আন্তর্জাতিক ডেস্ক

  ১৫ অক্টোবর, ২০১৯

বরফ গলছে সৌদি-ইরানের নেপথ্যে ইমরান খান

আলোচনার মাধ্যমে ভ্রাতৃত্বপূর্ণ দুই মুসলিম দেশ সৌদি আরব এবং ইরানের মত-পার্থক্য দূর করতে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে নয়, বরং সহায়তাকারীর ভূমিকা পালন করতে পাকিস্তান প্রস্তুত রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।

গত রোববার এক দিনের সফরে তেহরানে গিয়ে ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানির সঙ্গে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে অংশ নিয়ে তিনি এই প্রস্তাব দেন। ইমরান খান বলেন, অতীতে সৌদি আরব এবং ইরানকে আলোচনায় বসিয়েছিল পাকিস্তান। আবারও তাদের পার্থক্য নিরসনে ভ্রাতৃত্বপূর্ণ এ দুই দেশকে ইসলামাবাদে বসাতে সহায়তা করবে তার দেশ।

পাকিস্তানের এই প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই ইস্যুটি জটিল। কিন্তু আলোচনার মাধ্যমে সংকটের সমাধান করা সম্ভব। ইমরান খান বলেন, তিনি তেহরান এবং রিয়াদের এই কাজে সহায়তাকারীর ভূমিকা পালন করতে চান, মধ্যস্থতাকারীর নয়। তিনি বলেন, ইরান এবং সৌদি আরবের মধ্যে কখনই যুদ্ধ হবে না। পাকিস্তান এই অঞ্চলে কোনো ধরনের সংঘাত চায় না।

‘ইরানে এই সফর এবং আমি আগামীকাল মঙ্গলবার সৌদি আরবে যে সফর করব; সেটি পাকিস্তান নেতৃত্বাধীন একটি উদ্যোগ। আমি একটি ইতিবাচক মানসিকতা নিয়ে সৌদি আরব সফরে যাব এবং পাকিস্তান একজন সহায়তাকারীর ভূমিকা পালন করবে।’

সৌদি আরব এবং ইরানের মাঝে ইসলামাবাদে সংলাপ আয়োজনে পাকিস্তান প্রস্তুত রয়েছে বলে জানান ইমরান খান। পাকিস্তানের এই প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি যখন নিউইয়র্কে ছিলাম, তখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই সংলাপ আয়োজনে সহায়তা করার অনুরোধ জানিয়েছিলেন এবং আমরা সাধ্যের সবটুকুই করব। আমরা ইরানের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার ও একটি পারমাণবিক চুক্তি যাতে স্বাক্ষরিত হয় সেজন্য সহায়তা করব।

সংবাদ সম্মেলনে ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি বলেন, আমি প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে বলেছি, এই অঞ্চলের শান্তির জন্য পাকিস্তানের যেকোনো ধরনের উদ্যোগকে স্বাগত জানাবে ইরান। আমাদের দেশে তার সফরকে শ্রদ্ধা জানাই। ইয়েমেন যুদ্ধ ও ইরানের ওপর আরোপিত মার্কিন নিষেধাজ্ঞাসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে এ দুই নেতা আলোচনা করেছেন বলে জানান।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close