মেহেদী হাসান

  ১৭ অক্টোবর, ২০২৪

তিন মানিকজোড়ে জিম্মি কৃষি তথ্য সার্ভিস

* ৫০০ টাকার তোয়ালে কেনা হয়েছে ২০০০ টাকায় * কোটেশন বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয় না বোর্র্ডে কিংবা অনলাইনে * ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্যাড ভাড়া নিয়ে নিজেরাই করে কাজ * দুর্নীতির অভিযোগ পেয়ে দুদকের অনুসন্ধান শুরু

রাজধানীর ফার্মগেটের খামারবাড়ি কৃষি তথ্য সার্ভিসে চলছে তেলেসমাতিকা-। ছাত্রজনতার অভ্যুত্থানে পতন হওয়া আওয়ামী লীগ সরকারের দোসর কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এখনো রয়েছেন বহাল তবিয়তে। তারা প্রতিদিনই দফায় দফায় নিজেদের মধ্যে গোপন বৈঠক করছেন, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে নিজেদের টিকিয়ে রাখতে চালিয়ে যাচ্ছেন উচ্চপর্র্র্যায়ের তদবির। অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা লুটপাট করা এসব চিহ্নিত দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা-কর্র্র্র্মচারীরা যেন মানিকজোড়। কৃষি তথ্য সার্ভিসে মিলেমিশে অর্থ ভাগ-বাঁটোয়ারার দায়িত্বে থাকা এমনই তিন কর্মচারীর খোঁজ পেয়েছে প্রতিদিনের সংবাদ।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সুবিধাভোগী কর্মকর্তা কৃষি তথ্য সার্ভিসের (এআইএস) সদ্য সাবেক পরিচালক ড. সুরজিত সাহা রায়ের ছত্রছায়ায় থাকা এ তিন কর্মচারী হচ্ছেন অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর সঞ্জিত কুমার ভৌমিক, ক্যাশিয়ার জুয়েল হোসেন এবং সিনিয়র লেটারপ্রেস অপারেটর শাহিন মিয়া। অলিখিতভাবে কৃষি তথ্য সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ এ তিন কর্মচারীর হাতে। কেউ প্রতিবাদ করলেই কপালে জুটে হুমকি, বদলি ও শোকজ।

সাবেক পরিচালক সুরজিত সাহার বদলির পর এ তিনজনের মদদদাতার ভূমিকা পালন করছেন কৃষি তথ্য সার্ভিসের প্রধান তথ্য অফিসার বি এম রাশেদুল আলম। এ প্রধান তথ্য অফিসার দরপত্র মূল্যায়ন কমিটিরও সভাপতি। নতুন পরিচালক মো. মসীহুর রহমান যোগ দেওয়ার পর আগের দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নতুনভাবে সাজাচ্ছেন পরিকল্পনা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নারী কর্মকর্তা জানিয়েছেন, নতুন পরিচালক দায়িত্ব গ্রহণের দিন প্রধান তথ্য অফিসার রাশেদুল আলম এ তার অনুসারী দুর্নীতিবাজ কর্মচারীদের ডেকে পরিচয় করিয়ে দেন। এর মধ্যে ছিলেন ক্যাশিয়ার জুয়েল হোসেন, সঞ্জিত কুমার ভৌমিক ও শাহিন মিয়া। যারা কোটেশন, ভাউচার, সার্ভিসিংসহ সব দুর্নীতির বিলে সরাসরি জড়িত।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, সুরজিত সাহার যোগসাজশে ইচ্ছাকৃতভাবে প্রেস মেশিন বন্ধ রেখে সেটি অত্যন্ত সুপরিকল্পতিভাবে নষ্ট দেখিয়ে মেরামতের জন্য সিনিয়র লেটারপ্রেস অপারেটর শাহিন মিয়া পরিচালক বরাবর আবেদন করতেন এবং পরিচালকের সঙ্গে সম্পর্কের জোর দেখিয়ে প্রেস ম্যানেজার থেকেও পাস করিয়ে নিতেন। বেশিরভাগ সময়ই শাহিন মিয়া এসব অবৈধ সার্ভিসিং, কাগজ, কালি, কেমিক্যালের আবেদন পাশ করিয়ে নিতেন। অনুসন্ধানে আরো জানা যায়, লেটারপ্রেস অপারেটর শাহিন মিয়ার নিজের রয়েছে তাসিন ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কশপ নামে একটি প্রতিষ্ঠান। কাজ করার নামে সেখান থেকে মেকানিক ডেকে তুলে নিতেন টাকা।

অনুসন্ধানে জানা যায়, ২০২৩ সালের জুন ও জুলাই মাসের বিভিন্ন সময় প্রতিটি মেশিন ৩ থেকে ৪ বার মেরামত দেখানো হয়। সার্ভিসিংয়ের বিল পর্যালোচনা করে দেখা যায় প্রায় সব কাজই সবসময় পায় তাসিন ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কশপ। চারটি বিলে ৮ লাখ ৯০ হাজার ৭৮৫ টাকা তুলেছেন তাসিন ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কশপের মালিক লেটারপ্রেস অপারেটর শাহিন মিয়া নিজেই। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন নারী কর্মকর্তা জানান, প্রেস মেশিনের যন্ত্রাংশ নষ্ট দেখিয়ে সাবেক পরিচালকের যোগসাজশে লাখ লাখ টাকা বিল তুলে নেয় শাহিন সিন্ডিকেট। শাহিনকে কাজ না দিলে সে প্রেসের কাজ কৌশলে বন্ধ করে দেয়। আমাদের সরকারি প্রেসে অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ হয়, তাই কাজটি শুরু করেই সে মাঝপথে কাজ বন্ধ করে দেয়। সারা দিন অফিসে না থেকে প্রতি মাসে শাহিন ১০০ ঘণ্টা ওভারটাইম বিল নেন। কোনো প্রেস কর্মচারী তার বিরুদ্ধে কথা বললে নানা ধরনের হুমকি দেওয়ারও অভিযোগ রয়েছে।

প্রেসের সার্ভিসিং, কোটেশন, ভাউচারের টাকা ভাগ-বাঁটোয়ারা হয় এআইএসের সাবেক পরিচালক সুরজিত সাহা, প্রধান তথ্য অফিসার রাশেদুল আলম, তথ্য অফিসার আমিনুর ইসলাম, প্রেস স্টোর কিপার ইসরাত জামান, ক্যাশিয়ার জুয়েল হোসেন এবং অফিস সহকারী কাম কম্পিটার অপারেটর কাইয়ুমের মধ্যে। অনুসন্ধানে আরো জানা যায়, তাদের এ অনিয়ম-দুর্নীতি নিয়ে কথা বলায় স্টোর কিপার আরিফুল ইসলামকে পর পর তিনবার পরিকল্পিতভাবে শোকস করে সাবেক পরিচালক সুরজিত সাহা ও তথ্য অফিসার আমিনুর ইসলাম সিন্ডিকেট। তারা স্টোর কিপার আরিফুল ইসলামকে সব কাজ থেকে বিরত রাখেন।

প্রতিদিনের সংবাদের হাতে থাকা নথি ও ভিডিওতে দেখা যায়, চলতি বছরের ৯ মে কৃষি তথ্য সার্ভিসের ১২.০৫...২০৩৭/১ নম্বর স্মারকে ৩৭৫ রিম এ-ফোর সাইজ অফসেট পেপার ও ৫৫ রিম লিগ্যাল সাইজ পেপার কেনা হয় ২ লাখ ৮৯ হাজার ৮৫৫ টাকায়। এ কাগজ কেনায়ও করা হয় দুর্নীতি। যে মানের কাগজের বিল করা হয় তার চেয়ে নিম্নমানের কাগজ কেনা হয়। এর আগে গত ২২ এপ্রিল ...১৯৬৫ নম্বর স্মারকে ২ লাখ ৯৪ হাজার ৫১৪ টাকায় কেনা হয় ৩৫ ধরনের জিনিসপত্র এবং ...২০৭০ নম্বর স্মারকে ১৯ মে কেনা হয় ২ লাখ ৯৭ হাজার টাকার বিল করা হয়। সূত্র বলছে, সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের নামে কাজ দিয়ে টাকা তুলে এসব জিনিসপত্র কেনে আমিনুর ইসলাম। ভাড়া করা প্যাডে কম দামে কিনে বেশি বিল করেছে তথ্য অফিসার। তালিকায় থাকা ২০টি তোয়ালে কেনা হয়েছে ৪০ হাজার টাকায়। তিনটি স্মারকে কেনা মালামালের কোনটিই স্টোর কিপার প্রশাসন জানতেই পারেননি।

ঘটনার সত্যতা যাচাইয়ে কৃষি তথ্য সার্ভিসের স্টোর কিপার আরিফুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আপনি যেসব (তিনটি স্মারকের মালামাল) জিনিসের কথা বলছেন আমি সেসব জিনিস রিসিভ করিনি। কোথায় থেকে কীভাবে কেনা হয়েছে বা কোথায় মালামাল আছে আমি জানি না। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া আপনার সঙ্গে কোনো কথা বলতে পারব না।

তথ্য অফিসার আমিনুর ইসলামকে মালামাল কেনাকাটার কথা জিজ্ঞেস করতেই রেগে যান। তিনি ফোনে এ প্রতিবেদককে বলেন, ‘আপনি আমাকে এসব বিষয় জিজ্ঞেস করছেন কেন? আপনি কারো কথায় প্ররোচিত হয়ে নিউজ করছেন। আমি কোনো কেনাকাটা করিনি। কোন ক্রয় কমিটির সঙ্গে জড়িত নেই।’

তথ্য বলছে, সরকারি নিয়মানুসারে কোটেশন বিজ্ঞপ্তি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, কৃষি গবেষণা কাউন্সিল, পাট গবেষণা ইনস্টিটিউট, তুলা উন্নয়ন বোর্ড, মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউট, কৃষি বিপণন অধিদপ্তর ও কৃষি তথ্য সার্ভিসের নোটিশ বোর্ডে টাঙানোর নিয়ম রয়েছে। এছাড়া কৃষি তথ্য সার্ভিসের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করার কথা থাকলেও এ প্রশাসনের তিন কর্মচারী সঞ্জিত, জুয়েল এবং কাইয়ুমের প্ররোচনায় সাবেক পরিচালক এ কোটেশন বিজ্ঞপ্তি নোটিসে বোর্ডে দিতেন না। সিন্ডিকেটের সুবিধার্থে বাইরের কোনো সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান যেন কাজ না পায়, সেজন্য আগের তারিখ ব্যবহার করা হয়।

দুর্নীতি সিন্ডিকেটে প্রভাবশালী সদস্য ক্যাশিয়ার জুয়েল হোসেন এসব ভুয়া বিল ভাউচার এবং কোটেশনের কাজ করে নামে-বেনামে বিপুল সম্পদের মালিক হয়েছেন। অনুসন্ধানে আরো জানা যায়, নিয়মানুসারে প্রতি অফিসে একটি মাত্র ইস্যু রেজিস্ট্রার থাকার কথা অথচ জুয়েল ইস্যু রেজিস্ট্রার করেছেন দুটি। সাবেক পরিচালক সুরজিত সাহার নির্দেশে তথ্য গোপন করে অর্থ লোপাটের সুবিধার্থে এমনটা করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। অনুসন্ধানে জানা যায়, জুয়েলের রয়েছে বেশ কয়েকটি বাড়ি ও ফ্ল্যাট। সাভারের হেমায়েতপুরে একটি একতলা ও একটি তিনতলা বাড়ি রয়েছে। এছাড়া সাভারের বৈলাপুরের নয়ানগরে একতলা বাড়ি ও ঢাকার মিরপুরে আরো দুটি ফ্ল্যাট রয়েছে। ব্যাংক অ্যাকাউন্টে রয়েছে বহু টাকা।

ইস্যু রেজিস্ট্রার ও সম্পদের বিষয়ে ক্যাশিয়ার জুয়েল হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি প্রতিদিনের সংবাদকে বলেন, ইস্যু রেজিস্ট্রার খাতা দুটি করা হয়েছে। যদিও নিয়ম একটা। আমি সাবেক পরিচালক সুরজিত স্যারের নির্দেশেই দুটি ইস্যু রেজিস্ট্রার করেছি। আর যেসব বাড়ির কথা বলছেন সেসব বাড়ি আমার নয়, আমার বাবার নামে আছে। পৈতৃক সম্পত্তি বিক্রি করে এসব বাড়ি করা হয়েছে। এসব বাড়ির মধ্যে আমার শাশুড়ির একটা বাড়ি আছে। মিরপুরে আমার কোনো ফ্ল্যাট নেই। আমি কোনো অনিয়মের সঙ্গে জড়িত নয়। তবে অনুসন্ধানে জানা যায়, জুয়েলের বাবা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরে ড্রাইভার পদে চাকরি করতেন। তার পৈতৃক সম্পত্তি ১৫ শতাংশেরও কম। জুয়েলের নানার বাড়ি থেকে সম্পত্তি পেতে পারেন এমনটিও জানা যায়নি।

কৃষি তথ্য সার্ভিসে এক কর্মকর্তা জানান, সাবেক এআইএসের পরিচালক, প্রধান তথ্য অফিসারের ক্যাডার হিসেবে কাজ করতেন অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর সঞ্জিত কুমার ভৌমিক। কোটেশন বাণিজ্য, ভুয়া বিল-ভাউচার, দুর্নীতিবাজদের প্রয়োজনমতো স্টক এন্ট্রি না দিয়ে মালামাল গায়েব করে অর্থ লোপাটসহ কর্মচারীদের হুমকি দিতেন এ কর্মচারী। সব অবৈধ বিল-ভাউচারের কাজের অবৈধ লেনদেনের সহযোগী ছিলেন সঞ্জিত। অলিখিতভাবে কৃষি তথ্য সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ এ তিন কর্মচারীর হাতে। কেউ প্রতিবাদ করলেই কপালে জুটত হুমকি, বদলি ও শোকজ। তারই বলির পাঁঠা হয়ে ক্যাশ সরকার মুকলেসকে হতে হয়েছে বরখাস্ত। বেতন বন্ধ থাকায় পরিবার নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন তিনি। প্রেস কর্মচারী লোডার জহিরকে হতে হয়েছে বদলি এবং শেষ পর্যন্ত তিনি স্ট্রোক করে মারা যান। কিন্তু এ তিনি দুর্নীতিবাজ কর্মচারী এখনো আছেন বহাল তবিয়তে, দিচ্ছেন হুমকি-ধমকি।

ভুয়া বিল-ভাউচারের দুর্নীতি-অনিয়মে তার সংশ্লিষ্টতা আছে কি না- এ বিষয়ে জানতে চাইলে সঞ্জিত কুমার ভৌমিক প্রতিদিনের সংবাদকে বলেন, ‘আমি আসলে কিছুই করিনি। আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। আপনি চা খেয়ে যান।’

কৃষি তথ্য সার্ভিসের প্রেস শাখার সিনিয়র লেটারপ্রেস অফিসার শাহিন মিয়া প্রতিদিনের সংবাদকে বলেন, ‘আমি কোনো কেনাকাটার সঙ্গে যুক্ত নই। কোটেশন বিষয়েও বলতে পারব না। মেশিন মেরামত করা হয় পুরান ঢাকার ইঞ্জিনিয়ার দিয়ে। সব কাজ করে নিয়েছে সাবেক পরিচালক সুরজিত স্যার। সুরজিত স্যার ভালো বলতে পারবেন।’

প্রতিষ্ঠানে চাকরিরত অবস্থায় কোনো কর্মচারী কিংবা কর্র্র্মকর্তা কেনাকাটা বা মালামাল সরবরাহের কাজ করতে পারেন কি না- জানতে চাইলে প্রেস শাখার ম্যানেজার খন্দকার জান্নাতুল ফেরদৌস প্রতিদিনের সংবাদকে বলেন, ‘এ রকম কেনাকাটা করার নিয়ম নেই।’ প্রেসে কোনো সিন্ডিকেট আছে কি না- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘এখানে একটা সিন্ডিকেট আছে বলে মনে হয়, তবে আমি নিশ্চিত হয়ে বলতে পারছি না।’

সাবেক পরিচালকের সঙ্গে সম্পর্ক ও প্রেসে কোনো সিন্ডিকেট আছে কি না- জানতে চাইলে প্রধান তথ্য অফিসার বি এম রাশেদুল আলম প্রতিদিনের সংবাদকে বলেন, ‘খামারবাড়িতে দুটি পক্ষ আছে। একটি পক্ষ আরেকটি পক্ষের নানা বিষয়ে তুলে ধরে। এখানে একটা সিন্ডিকেট আছে বলে মনে হয়। কিন্তু এখন এসব বিষয়ে আমি কথা বলতে পারব না। আমার কাছে কাগজ এলে, তা ঠিক আছে কি না দেখে শুধু সই করি।’ তবে অবৈধভাবে সরকারি গাড়ি ব্যবহারের বিষয়ে জানতে চাইলে উত্তর দেননি তিনি। কিন্তু সূত্র বলছে, বি এম রাশেদুল আলম অফিস সময়ে বাইরেও তার পরিবার সরকারি গাড়ি ব্যবহার করেন এবং তিনি চীনে প্রশিক্ষণে থাকাকালীনও তার পরিবার অফিসের গাড়ি ব্যবহার করেছেন।

এসব দুর্নীতির বিষয়ে জানতে চাইলে সাবেক পরিচালক ড. সুরজিত সাহা রায় বলেন, ‘আমি কোনো কিছুর সঙ্গে জড়িত নই। আমাকে বদলি করা হয়েছে। আমি এখন আর এসব বিষয় নিয়ে মন্তব্য করব না।’

এমন দুর্নীতি-অনিয়মের ধারা বন্ধ হবে কি না- জানতে চাইলে সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার প্রতিদিনের সংবাদকে বলেন, ‘আওয়ামী সরকারের আমলে অনিয়ম-দুর্নীতি হয়েছে। এসব দুর্নীতি-অনিয়ম রোধ করতে সুষ্ঠু তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের বিচারের আওতায় আনতে পারলে দুর্নীতি আর লুটপাট অনেকটাই কমে আসবে। জড়িতদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে। দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির নজির স্থাপন করতে পারলে দুর্নীতির লাগাম টানা সম্ভব।’

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close