নিজস্ব প্রতিবেদক

  ০৭ এপ্রিল, ২০২৪

সংবাদপত্রে এবার টানা ৬ দিনের ছুটি

এবার পবিত্র ঈদুল ফিতরে সংবাদপত্রে কর্মরত সাংবাদিক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা রেকর্ড ৬ দিনের ছুটি পাচ্ছেন। গতকাল শনিবার সংবাদপত্রের মালিকদের সংগঠন নিউজপেপার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (নোয়াব) বৈঠক শেষে ৯ থেকে ১৪ এপ্রিল ছুটির আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়া হয়। ছুটির এ সময়ে সংবাদপত্র প্রকাশিত হবে না।

প্রতি বছর সাধারণত ২৯ রমজান থেকে সংবাদকর্মীরা ছুটি ভোগ করে থাকেন। রোজা ৩০টি হলে সে বছর ৪ দিনের ছুটি পান তারা। সে হিসেবে এ বছর ঈদুল ফিতরে আগামী ৯ থেকে ১২ এপ্রিল পর্যন্ত সর্বোচ্চ ছুটি হওয়ার কথা। কিন্তু এবার ঈদের ছুটি শেষ হওয়ার এক দিন পরই (১৪ এপ্রিল) বাংলা নববর্ষ পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে সরকারি ছুটি। তাই ১৩ এপ্রিল বিশেষ ছুটি ঘোষণার সিদ্ধান্ত নেয় নোয়াব।

নোয়াবের বৈঠকে ১৩ এপ্রিল বিশেষ ছুটি ঘোষণার বিষয়ে বেশির ভাগ সদস্যই সম্মত হন। এদিন পত্রিকা প্রকাশ হলেও সংবাদপত্র বিপণন সংস্থা সংবাদপত্র হকার্স কল্যাণ বহুমুখী সমিতি তা বিপণনে অপারগতা জানায়। অন্যদিকে ঈদের ছুটির এক দিন পরই পহেলা বৈশাখের ছুটি থাকায় সাংবাদিকদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নও (ডিইউজে) নোয়াবের কাছে ১৩ এপ্রিল বিশেষ ছুটি ঘোষণার আহ্বান জানায়।

এ বিষয়ে ডিইউজে সভাপতি সোহেল হায়দার চৌধুরী বলেন, ঈদের ছুটি চিরাচরিত। একইভাবে পহেলা বৈশাখের ছুটিও। কিন্তু এবার ঈদের ছুটির এক দিন পরই পহেলা বৈশাখ। তাই সংবাদমাধ্যমের কর্মীরা যাতে পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানোর সুযোগ পান, সেই আবেদন আমরা নোয়াবের কাছে জানিয়েছি। এতে কর্মীদের কর্মস্পৃহা আরো বাড়বে। তা ছাড়া গণমাধ্যমে ছুটিও এমনিতে অনেক কম।

সোহেল জানান, ঈদের ছুটি ৬ দিন, এটি রেকর্ড। স্বাধীনতার পর আর কখনো সংবাদমাধ্যম ৬ দিন বন্ধ থাকেনি।

সংবাদপত্রের ছুটি প্রসঙ্গে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক সভাপতি আলমগীর হোসেন বলেন, সংবাদপত্রে একসময় কোনো ছুটি ছিল না। ঈদের দিনও পত্রিকা প্রকাশ হতো। স্বাধীনতার পর সত্তরের দশকের শেষদিকে বাংলাদেশ সংবাদপত্র পরিষদের উদ্যোগে সংবাদপত্রে ছুটির প্রচলন শুরু হয়। তবে রাষ্ট্রের অন্য প্রতিষ্ঠানের তুলনায় গণমাধ্যমে এখনো ছুটি অনেক কম।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close