নিজস্ব প্রতিবেদক

  ০২ এপ্রিল, ২০২৪

মালয়েশিয়ায় সেকেন্ড হোম গড়েছেন ৩৬০৪ বাংলাদেশি

দেশের টাকা পাচার করে বিদেশে বাড়ি-গাড়ি করায় ওস্তাদ বাংলাদেশিরা। সেকেন্ড হোম হিসেবে বাংলাদেশিদের কাছে অন্যতম পছন্দের দেশ মালয়েশিয়া। দেশটিতে দ্বিতীয় নিবাস গড়ায় বিশ্বের মধ্যে বাংলাদেশিদের অবস্থান পঞ্চম। চলতি বছরের জানুয়ারি পর্যন্ত মালয়েশিয়ায় দ্বিতীয় নিবাস গড়েছেন ৩ হাজার ৬০৪ বাংলাদেশি। মালয়েশিয়ায় সেকেন্ড হোম গড়ার একটি সরকারি প্রকল্প হচ্ছে ‘মালয়েশিয়া মাই সেকেন্ড হোম (এমএম২এইচ)’। এ কর্মসূচির আওতায় মালয়েশিয়াকে সেকেন্ড হোম বানিয়েছেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের অন্তত ৫৬ হাজার মানুষ। তালিকায় শীর্ষে রয়েছেন চীনের নাগরিক, দ্বিতীয় অস্ট্রেলিয়া, তৃতীয় দক্ষিণ কোরিয়া, চতুর্থ জাপান ও পঞ্চম অবস্থানে রয়েছেন বাংলাদেশিরা।

মালয়েশিয়ার শিল্প ও পর্যটনমন্ত্রী দাতুক সেরি টিয়ং কিংসিং দেশটির পার্লামেন্টে জানান, চলতি বছরের ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত মালয়েশিয়ায় ‘সেকেন্ড হোম’ পাসধারী সক্রীয় ব্যক্তি রয়েছেন ৫৬ হাজার ৬৬ জন। তাদের মধ্যে নির্ভরশীল পাসধারীও রয়েছেন। শিল্প ও পর্যটনমন্ত্রী টিয়ং কিংসিং জানান, মালয়েশিয়ায় সেকেন্ড হোম গড়ায় শীর্ষে রয়েছেন চীনের নাগরিকরা; তাদের সংখ্যা ২৪ হাজার ৭৬৫। এরপর দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা অস্ট্রেলিয়া থেকে ৯ হাজার ২৬৫, দক্ষিণ কোরিয়া থেকে ৪ হাজার ৯৪০ এবং জাপানের ৪ হাজার ৭৩৩ জন এমএম২এইচ কর্মসূচির আওতায় রয়েছেন।

মন্ত্রীর তথ্যানুসারে, তালিকায় পঞ্চমস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। চলতি বছরের ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত ৩ হাজার ৬০৪ বাংলাদেশি মালয়েশিয়ায় সেকেন্ড হোম গড়েছেন। বাংলাদেশের পরই যুক্তরাজ্যের অবস্থান। দেশটির ২ হাজার ২৩৪ জন মালয়েশিয়ায় সেকেন্ড হোম গড়েছেন। এছাড়া সিঙ্গাপুর, ভারত, তাইওয়ান; এমনকি যুক্তরাষ্ট্রের বাসিন্দারাও রয়েছেন মালয়েশিয়ায় সেকেন্ড হোম গড়ার তালিকায়। এমএম২এইচ কর্মসূচিতে আবেদনের বয়সসীমা অন্তত ৩০ বছর। মূলত আর্থিক সক্ষমতার ভিত্তিতে প্লাটিনাম, গোল্ড ও সিলভার- এ তিন স্তরে ভাগ করে সেকেন্ড হোম গড়ার সুযোগ দিচ্ছে মালয়েশিয়া।

নিবাস গড়ার ক্ষেত্রে প্লাটিনাম স্তরের আওতায় ৫০ লাখ রিঙ্গিত, গোল্ড স্তরে ২০ লাখ রিঙ্গিত এবং সিলভার স্তরে ৫ লাখ রিঙ্গিত স্থায়ী আমানত রাখার বাধ্যবাধকতা রেখেছে মালয়েশিয়া। এছাড়া পাসধারী ব্যক্তিকে অবশ্যই বছরে অন্তত ৬০ দিন মালয়েশিয়ায় বসবাস করতে হয়। দেশের টাকা পাচার করে মালয়েশিয়া ও কানাডায় বাংলাদেশিদের তথাকথিত সেকেন্ড হোম গড়া, সিঙ্গাপুরে তারকা হোটেলের মালিকানা ও সুইস ব্যাংকে অর্থ রাখার বিষয়গুলো বেশ কয়েক বছর ধরেই আলোচিত। মালয়েশিয়ার সরকারি তথ্যে এবার মিলল তার প্রমাণ।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close