অর্থনৈতিক প্রতিবেদক

  ৩১ জানুয়ারি, ২০২৪

বৈঠকে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী

রপ্তানির নতুন বাজার খোঁজার নির্দেশ

পাটজাত ও চামড়াজাত পণ্যসহ দেশের রপ্তানিযোগ্য পণ্যের নতুন বাজার খুঁজতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন কমার্শিয়াল কাউন্সিলরদের নির্দেশ দিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু। ২০২৫ সালে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় সব কমার্শিয়ালকে কর্মরত দেশের একটি করে স্টল নিশ্চিত করতে এখন থেকে কাজ করাও নির্দেশ দেন প্রতিমন্ত্রী। এছাড়া শুধু রপ্তানি নয়, বাংলাদেশ যেসব পণ্য পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করে; বিশেষ করে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য তার উৎপাদন ও মূল্য মনিটরিং এবং মন্ত্রণালয়ে পাঠানোরও নির্দেশনা প্রদান করেন।

গতকাল মঙ্গলবার মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষ থেকে অনলাইনে যুক্ত হয়ে বিশ্বের ২৩টি দেশে কর্মরত কমার্শিয়াল কাউন্সিলরদের তিনি এসব নির্দেশনা দেন। বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, যেসব দেশে রপ্তানির চেয়ে আমদানি বেশি হয়, সেসব দেশে বিকল্প কি পণ্য রপ্তানি করে আমদানি-রপ্তানিতে ভারসাম্য আনা যায়, তা নিয়ে কাজ করতে হবে। যদি কোনো বাণিজ্য বাধা (ট্যারিফ-নন-ট্যারিফ) থাকে, তা-ও দ্রুত সমাধানে উদ্যোগ নিতে হবে।

তিনি বলেন, কমার্শিয়াল কাউন্সিলদের কর্মরত দেশের প্রথম ১০টি আমদানি ও রপ্তানিপণ্যের দামসহ মন্ত্রণালয়ে তালিকা পাঠানোর করতে বলেন। কোন দেশের কী পণ্যের চাহিদা রয়েছে, তা খুঁজে বের করে রপ্তানির ব্যবস্থা নিতে হবে। প্রতিটি দেশের আমদানি-রপ্তানিকারক, ব্যবসায়িক অ্যাসোসিয়েশন, বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান; এমনকি ব্যক্তি পর্যায়ে সম্পর্ক তৈরির মাধ্যমে যোগাযোগ বৃদ্ধির আহ্বান জানিয়ে আহসানুল ইসলাম টিটু তাদের সঙ্গে নিয়মিত সভা-সেমিনার করে বাংলাদেশি পণ্যে ব্রান্ডিং করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে কাজ করছে, তা বাস্তবে রূপ দিতে সবাইকে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে কাজ করার পরামর্শ দেন প্রতিমন্ত্রী।

কমার্শিয়াল কাউন্সিলরদের আরো উদ্ভাবনী হতে হবে উল্লেখ করে যে দেশে কমার্শিয়াল কাউন্সিলররা কর্মরত আছেন, সেসব দেশের ভাষা আয়ত্ত করার পরামর্শ দিয়ে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, যেসব দেশ আন্তর্জাতিক এবং আঞ্চলিক জোটে আছে, তাদের মধ্যে বাণিজ্যিক পরিসংখ্যান সম্পর্কে জানতে। আগামী জুলাইয়ের মধ্যে মন্ত্রণালয় থেকে পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হবে এবং পরিকল্পনার টার্গেট অনুযায়ী দায়িত্ব পালন করতে হবে বলেও জানান তিনি।

আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, পোশাকশিল্পের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে পণ্যের বহুমুখীকরণের ওপর জোর দিতে হবে। আমাদের দেশ থেকে এগ্রো ফুড, সি ফুড, প্লাস্টিক, সিরামিক, বাইসাইকেল, ফার্নিচার এবং চাসহ অনেক রপ্তানিযোগ্য পণ্য রয়েছে। এগুলো রপ্তানির নতুন বাজার ধরতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। সেইসঙ্গে জরুরি ভিত্তিতে আমদানির জন্য বিকল্প বাজার খুঁজতে হবে। এককভাবে কোনো দেশের ওপর নির্ভরশীল হওয়া যাবে না। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষের সভাপতিত্বে অনলাইন সভায় রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুারোর (ইপিবি) ভাইস চেয়ারম্যান এ এইচ এম আহসানসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা যুক্ত ছিলেন।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close