নিজস্ব প্রতিবেদক

  ২৭ জানুয়ারি, ২০২৪

রূপপুর পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র

দ্রুত এগোচ্ছে কাজ সুফলের অপেক্ষা

বিড়ম্বনার অনেক ধাপ পেরিয়ে প্রকল্পটি সফলতার দ্বারপ্রান্তে * ৭ ধাপে ১৬৮ ইউরেনিয়াম পৌঁছেছে * পরীক্ষা-নিরীক্ষা আর জ্বালানি লোডিংয়ের প্রস্তুতি চলছে

দেশের সবচেয়ে বড় মেগা প্রকল্প পাবনার রূপপুরে নির্মাণাধীন পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র। চলতি বছরের শেষ নাগাদ রূপপুর পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিট চালু হতে যাচ্ছে। আর ২০২৫ সালের মধ্যেই চালু হবে পুরো কেন্দ্র। স্বল্পতম সময়ের মধ্যে জটিল এ প্রকল্প বাস্তবায়নে নতুন রেকর্ড গড়তে যাচ্ছে বাংলাদেশ।

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় বলছে, পারমাণবিক জ্বালানি আমদানির পর এখন কমিশনিংয়ের জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে মেগা এ পাওয়ার প্লান্টটি। নির্মাতা দেশ রাশিয়াও নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই বাংলাদেশকে প্রকল্পটি বুঝিয়ে দিতে পূর্ণ নিশ্চয়তা দিচ্ছে। জানা যায়, রাশিয়ার আর্থিক ও কারিগরি সহায়তায় নির্মাণাধীন এ প্রকল্পে ভিভিইআর প্রযুক্তির তৃতীয় প্রজন্মের রি-অ্যাক্টর বা পরমাণু চুল্লি ব্যবহৃত হচ্ছে। যার প্রতিটির উৎপাদন সক্ষমতা ১ হাজার ২০০ মেগাওয়াট করে।

পারমাণবিক জ্বালানি বাংলাদেশে আনার প্রক্রিয়া গত বছর সেপ্টেম্বরের শেষ নাগাদ শুরু হয়। রাশিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত পরমাণু সংস্থা রোসাটমের তত্ত্বাবধানে ৭ ধাপে ১৬৮টি ইউরেনিয়ামের অ্যাসেম্বলি পৌঁছেছে রূপপুরের প্রকল্প এলাকায়। এখন পুঙ্খানুপুঙ্খ পরীক্ষা-নিরীক্ষা আর জ্বালানি লোডিংয়ের প্রস্তুতি চলছে। প্রকল্প এলাকায় কথা হয় রাশিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত পরমাণু সংস্থা রোসাটমের মহাব্যবস্থাপক অ্যালেক্সি লিখাচেভের সঙ্গে। তিনি জানান, বিড়ম্বনার অনেক ধাপ পেরিয়ে প্রকল্পটি এখন সফলতার দ্বারপ্রান্তে। স্পর্শকাতর এমন স্থাপনায় জটিল পরিস্থিতি কীভাবে এড়াবে বাংলাদেশ এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, কোনো চ্যালেঞ্জেই রূপপুর ছেড়ে যাবে না রাশিয়ার একজন কর্মীও।

প্রকল্প এলাকায় পারমাণবিক জ্বালানি পৌঁছানোর অর্থই হলো, বড় আকারে স্টার্টআপ কর্মসূচির জন্য এখন চূড়ান্ত প্রস্তুতির সময় হয়ে গেছে। কমিশনিংয়ের আগে সূক্ষ্ম যন্ত্রপাতিগুলোর অন্তত দেড় হাজার পরীক্ষা চালানো হবে। গত কয়েক বছর অনেক চাপের মধ্য দিয়ে পার হলেও সব কাজেই চ্যালেঞ্জ থাকে এবং থাকবেও। তবে কোনো অবস্থায়ই এ বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে পেছনে ফিরে আসার আর সুযোগ নেই।

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান বলেন, ‘কাজ চলছে সূচিমাফিক। ২০২৫ সালেই পরমাণু বিদ্যুৎ পাবে দেশ।’ পরমাণু বিশেষজ্ঞদের মতে, এত অল্পসময়ের মধ্যে পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে নতুন রেকর্ড গড়তে যাচ্ছে বাংলাদেশ, যা সক্ষমতার নতুন ধাপে নেবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিউক্লিয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. শফিকুল ইসলাম বলেন, ৭-৮ বছরের মধ্যে বিদ্যুৎ উৎপাদনে বাণিজ্যিকভাবে যেতে পারলে, এটা হবে টেকনোলজি ডেভেলপমেন্ট দেশের জন্য বড় ধরনের মাইলফলক, যা দেখে বিভিন্ন দেশে আলোচনা হবে। বিভিন্ন দেশ আমাদের ফলো করবে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close