নিজস্ব প্রতিবেদক

  ২৪ নভেম্বর, ২০২১

দেশেই টিকা উৎপাদন হবে আগামী বছর

দেশে আগামী বছর থেকে করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকা উৎপাদন শুরু হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান। গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির উদ্যোগে মিট দ্য রিপোর্টার্স অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ তথ্য জানান।

সালমান এফ রহমান বলেন, ‘ইনসেপ্টা চায়নার একটি কোম্পানির সঙ্গে আলোচনা করছে। ইনসেপ্টার কাছে চায়না যে বিশেষ ধরনের টিকা বানায় সেটি তাদের বানানোর সক্ষমতা আছে। তাদের সঙ্গে চীনের টার্ম অ্যান্ড কন্ডিশন চূড়ান্ত হলেই টিকা উৎপাদন শুরু করতে পারবে। এর পাশাপাশি বেক্সিমকোও টিকা উৎপাদনের কার্যক্রম শুরু করেছে।

অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি করোনাভাইরাসের টিকা পুনের প্ল্যান্টে উৎপাদন করে কোভিশিল্ড নামে বাজারজাত করছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় টিকা উৎপাদনকারী কোম্পানি সেরাম ইনস্টিটিউট। এ কোম্পানি থেকে তিন কোটি ডোজ টিকা কিনতে গত বছরের নভেম্বরে ত্রিপক্ষীয় চুক্তি করে বাংলাদেশ। এরপর জানুয়ারিতে ৬০০ কোটি টাকার বেশি অগ্রিম হিসেবে দেয় সরকার, যা টিকার মোট দামের অর্ধেক।

ত্রিপক্ষীয় চুক্তি অনুযায়ী, ভারত থেকে ওই টিকা এনে বাংলাদেশে সরবরাহ করার দায়িত্ব বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের, তারা বাংলাদেশে সেরাম ইনস্টিটিউটের কোভিড টিকার একক পরিবেশক। আর সালমান এফ রহমান বেক্সিমকো গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান।

চুক্তি অনুযায়ী প্রতি মাসে ৫০ লাখ ডোজ টিকা আসার কথা ছিল বাংলাদেশে। গত ২৫ জানুয়ারি প্রথম চালানে ৫০ লাখ ডোজ এবং ২৩ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় চালানে ২০ লাখ ডোজ টিকা দেশে আসে।

পাশাপাশি ভারত সরকারের উপহার হিসেবে ২১ জানুয়ারি আরো ২০ লাখ ডোজ এবং ২৬ মার্চ ১২ লাখ ডোজ কোভিশিল্ড পায় বাংলাদেশ। কিন্তু মার্চে ভারতে করোনাভাইরাস মহামারি চরম আকার ধারণ করলে সে দেশের সরকার এপ্রিলে টিকা রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দেয়।

এদিকে, দেশেই করোনাভাইরাসের টিকা উৎপাদনের উদ্যোগের অগ্রগতি নিয়ে সালমান এফ রহমান বেলেন, ‘ইনসেপ্টার টিকা তৈরি করার সব সক্ষমতা আছে। চায়নার সঙ্গে টার্মস অ্যান্ড কন্ডিশনসগুলো ঠিক হয়ে গেলে তারা উৎপাদনে যেতে পারবে। বেক্সিমকো আগামী চার থেকে ছয় সপ্তাহের মধ্যেই টিকা উৎপাদনের সক্ষমতা অর্জন করবে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close