নিজস্ব প্রতিবেদক

  ১৩ জুলাই, ২০২০

বদলি কোনো শাস্তি নয়, অনিয়মে জড়িত থাকলে বরখাস্ত

স্থানীয় সরকারমন্ত্রী

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেন, বদলি কোনো শাস্তি নয়, দেশের উন্নয়নে গৃহীত প্রকল্পে নিম্নমানের কাজের সঙ্গে জড়িত থাকলে বরখাস্ত অথবা আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। একইসঙ্গে সব প্রকল্প নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে মানসম্মতভাবে শেষ করার জন্য প্রকল্প পরিচালক এবং এর সঙ্গে যুক্ত সবাইকে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। গতকাল রোববার মন্ত্রণালয়ে নিজ কক্ষে স্থানীয় সরকার বিভাগ এবং এর আওতাধীন বিভিন্ন বিভাগ এবং দফতরের বাস্তবায়নাধীন ২০১৯-২০ অর্থবছরের সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (আরএডিপি) অন্তর্ভুক্ত প্রকল্পগুলোর বাস্তবায়ন অগ্রগতির ওপর বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি পর্যালোচনায় নিয়ে অনলাইন সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ অবশ্যই মানসম্পন্ন, টেকসই ও মজবুত হতে হবে এবং নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করার ওপর গুরুত্বারোপ করে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, প্রকল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট যে স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী নিম্নমানের কাজে জড়িত থাকবে তাদের কঠোর শাস্তির আওতায় আনা হবে।

মন্ত্রী বলেন, ‘মন্দ কাজের জন্য যেমন তিরস্কার বা বরখাস্তের ব্যবস্থা থাকবে তেমনি ভালো কাজের সঙ্গে যারা জড়িত তাদের পুরস্কৃতও করা হবে। করোনা সংকটে বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও উন্নয়ন কর্মকান্ডে প্রভাব পড়েছে, তাই এ বছর প্রকল্পের অগ্রগতি কিছুটা কম হয়েছে। তবে সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এই ক্ষতি পুষিয়ে ওঠা সম্ভব।

মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেন, প্রকল্প কাজের গুণগত মান নিশ্চিত করতে প্রকল্প পরিচালক, প্রকৌশলীরা যদি কোনো বাধা বা হুমকির সম্মুখীন হন তাহলে তাদের নিরাপত্তা দিতে রাষ্ট্র অঙ্গীকারবদ্ধ। এক্ষেত্রে তার মন্ত্রণালয় দায়িত্ব নেবে বলেও জানান তিনি।

গ্রামীণ সড়ক, ইউনিয়ন পরিষদ সড়ক এবং উপজেলা সড়ক নির্মাণে স্ট্রাকচারাল ডিজাইনসহ দৈর্ঘ্য, প্রস্থ ইত্যাদি নির্দিষ্ট করে একটি পূর্ণাঙ্গ ডিজাইন তৈরি করে সে অনুযায়ী বাস্তবায়ন করতে সংশ্লিষ্টদের পরামর্শ দেন মন্ত্রী। এছাড়া ছোট-বড় যেকোনো প্রকল্প নেওয়ার আগে নেভিগেশন, পরিবেশসহ বিভিন্ন বিষয় বিবেচনায় নিয়ে প্রকল্প গ্রহণের আহ্বান জানান তিনি।

গ্রামীণ সামাজিক অবস্থার উন্নতি, গ্রামীণ অর্থনীতির গতির সঞ্চার এবং মানুষকে উন্নত জীবন দিতে উন্নয়ন কার্যক্রম অব্যাহত রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করে মন্ত্রী বলেন, স্বাস্থ্যবিধি, সামাজিক দূরত্বসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে গ্রামীণ অবকাঠামো নির্মাণের কাজে মানুষকে সম্পৃক্ত করলে গ্রামীণ অর্থনীতি চাঙা হবে।

স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদের সঞ্চালনায় সভায় স্থানীয় সরকার বিভাগের আওতাধীন এলজিইডি, ডিপিএইচই, সব ওয়াসা, সব সিটি করপোরেশন, এনআইএলজি এবং স্থানীয় সরকার বিভাগ বাস্তবায়নাধীন বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে অন্তর্ভুক্ত প্রকল্পগুলোর বাস্তবায়ন অগ্রগতি সম্পর্কে স্থানীয় সরকারমন্ত্রীকে অবহিত করা হয়।

উল্লেখ্য, স্থানীয় সরকার বিভাগের অধীনে ২০১৯-২০ অর্থবছরে ২৫৬টি বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পের জুন পর্যন্ত অগ্রগতি ৮১ দশমিক ৪৯ ভাগ। যা গত বছর ছিল ৯৫.৪২ ভাগ। মার্চ থেকে জুন পর্যন্ত প্রকল্প কাজের মৌসুম হলেও করোনা মহামারির কারণে কাজ বন্ধ থাকায় এ বছর কাজের অগ্রগতি কিছুটা কম হয়েছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close