বিনোদন প্রতিবেদক

  ১৬ মার্চ, ২০২৪

দর্শকের মন জয় করতে চান মন্দিরা

আমার প্রথম সিনেমায় আমি পুরোপুরি অভিনেত্রী হয়ে ওঠার চেষ্টা করেছি। সিনেমার শুটিং শেষে আমার পরিচালকও আমাকে বলেছেন, শুটিং করতে এসে অভিনয়টা শিখে ফেলছি, বলছিলেন মন্দিরা চক্রবর্তী।

ঈদুল ফিতরে মুক্তি প্রতীক্ষিত ‘কাজল রেখার’ নায়িকা মন্দিরা। শুধু নায়িকা নয়, নাম ভূমিকায়ও তিনি। ৪০০ বছর আগের রূপকথার গল্প বর্তমান সময়ে কাজল লেখার মাধ্যমে তুলে এনেছেন গিয়াস উদ্দিন সেলিম। এমন গল্পের কাজলরেখা হয়ে উঠতে কম পরিশ্রম করতে হয়নি মন্দিরারও। দৃশ্যায়নে সেট থেকে শুরু করে পারিপার্শ্বিক পরিবেশে খাপখাওয়ানো পবশ জটিল ব্যাপারই ছিল। পরিচালক গিয়াস উদ্দিন সেলিম বললেন, ব্যাপারটি জটিল হলেও মন্দিরা সেটা ভালোভাবেই উথরে গিয়েছে। এখানে আমরা পালার গল্পকে সিনেমার বাস্তবতায় তুলে আনার চেষ্টা করছি। সেই গল্পে মন্দিরা হয়ে উঠেছে পুরোপুরি কাজলরেখা। সিনেমাটি দেখার পর একবারও মনে হবে না এটি মন্দিরার প্রথম সিনেমা।

যে মন্দিরাকে নিয়ে কথা হচ্ছে, সিনেমায় তিনি একেবারে নতুন হলে শোবিজে পথচলা বহুবছর আগেই। চ্যানেল আইয়ের সেরা নাচিয়ে রিয়েলিটি শো থেকে তার পরিচিতি বাড়ে। এতে রানারআপ হয়ে আলোচনায় আসেন। তাকে নিয়ে ভাবনা শুরু হয় অনেক নির্মাতার। কাজ করেন বিজ্ঞাপন ও নাটকে। এবার তো বড় পর্দা। শোবিজের যাত্রার শুরুটা মন্দিরা জানালেন এভাবে, আমার পরিবারের কেউ শোবিজে নেই। নেই মানে একদমই নেই। তবে মা-বাবা ও দুই ভাই সবাই সংস্কৃতিমনা। সবাই আমাকে সাপোর্ট করে। তবে মায়ের ইচ্ছাটা সবচেয়ে বেশি। ছোটবেলা কেটেছে খুলনায়, সেখানে নাচের তালিম নিতাম। মা-ই আমাকে সবখানে নিয়ে যেতেন। নাচে জাতীয় পুরস্কারও পেয়েছি। একটা সময় নিজেরও স্বপ্ন বড় হতে থাকে। চ্যানেল আইয়ের রিয়েলিটি শো সেরা নাচিয়েতে নাম লেখানোর পর যখন রানারআপ হলাম, তখন অভিনয়ের প্রস্তাব পেতে থাকি।

নাচের মেয়ে মন্দিরা। কমতি নেই শরীরী সৌন্দর্য। তাই নায়িকা হওয়ার প্রস্তাব শুরু থেকেই তার দরজায় কড়া নেড়েছে। কিন্তু মন্দিরা হুট করে এভাবে নায়িকা হতে চাননি। শেখে-পড়েই সিনেমায় আসতে চেয়েছেন। সে সময় তাই টিভিসি, ওবিসির কাজ করার প্রতিই মনোনিবেশ করেন। নামেন নাটকের অভিনয়েও। এরমধ্যে প্রস্তাব আসে কাজলরেখা হওয়ার।

গিয়াস উদ্দিন সেলিমের সঙ্গে কাজের সুযোগ পাওয়ায় দারুণ খুশি মন্দিরা। বলেন, ‘এ কাজটি করার আগে ছোট পর্দায় কিছু কাজ হয়েছে। কিন্তু সেলিম ভাইয়ের মতো এমন পরিচালক আমি পাইনি। সে আমার গুরু। শুরু থেকে এত সুন্দর করে অভিনয়টা আমাকে শিখিয়েছেন, মনে হয়েছে গল্প করতে করতে অভিনয় শিখেছি আমি।’

‘কাজলরেখা’পরিচালক গিয়াস উদ্দিন সেলিমের ড্রিম প্রজেক্ট। মন্দিরা জানালেন, এটি তার কাছেও এটি ড্রিম প্রজেক্ট। প্রথমত, এটি আমার প্রথম সিনেমা। দ্বিতীয়ত, এটি একটি চিরচেনা গল্পের সিনেমা। কাজল রেখা দিয়ে দর্শকদের মন জয় করতে চাই। যেন এভাবেই একটার পর একটা ভালো সিনেমায় অভিনয় করতে পারি।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close