বিনোদন প্রতিবেদক

  ২৭ মে, ২০২৩

ঘুরে দাঁড়ানোর প্রত্যয়ে রাইসা

উপমহাদেশের প্রখ্যাত সংগীতশিল্পী লতা মুঙ্গেশকরের গান শুনে অনুপ্রাণিত হয়ে ছোটবেলা থেকেই গানের সঙ্গে সম্পৃক্ত রেখেছেন। গ্রামের বাড়ি নোয়াখালীতে থাকা অবস্থাতেই গান চর্চা শুরু তার। পরবর্তী সময়ে যখন ঢাকায় এলেন, তখন বাসু চ্যাটার্জির কাছে কিছুদিন গান শিখেছেন। মূলত গান সম্পর্কে মূল ধারণা তার কাছ থেকেই পাওয়া। তার প্রথম মৌলিক গান ‘কাশফুল’ লেজার ভিশন থেকে প্রকাশ পায় এক দশক আগে। গানটি লিখেছিলেন রাহুল মাহফুজ জয়, সুর-সংগীত করেছিলেন মাহমুদ সানী। এই গানে রাইসার মিষ্টি কণ্ঠের অসাধারণ গায়কীতে প্রথমে মুগ্ধ হন লেজার ভিশনের তিন ভাই আরিফ, মাজহারু ও বকুল। এরপর গানটি প্রকাশের পর বেশ সাড়া ফেলেন রাইসা। কিন্তু অনেক স্বপ্ন, অনেক আশা থাকলেও নিজেকে গানের ভুবন থেকে সরিয়ে নেন রাইসা। মৌলিক গান প্রকাশে অনীহা চলে আসে তার। কিন্তু গানই যার ধ্যান জ্ঞান, তিনি কী আর গান থেকে দূরে থাকতে পারেন। একটি প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি থেকে রাইসা এলএলবি (অনার্স) সম্পন্ন করে গানে আবারও মনোযোগী হয়ে উঠেছেন তিনি। ফিরেছেন স্টেজ শোতে। গত ২৪ মে ছিল জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের জন্মদিন। এই দিনকে উপলক্ষ করে রাইসা জান্নাত খান তার নিজের ফেসবুক আইডিতে নজরুলের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে ‘মোর ঘুম ঘোরে এলে মনোহর’ গানটি প্রকাশ করেন। রাইসা বলেন, ‘যদিও বা স্টেজ শোদে কমার্শিয়াল গান গাইতে হয় আমাকে। কিন্তু ছোটবেলা থেকেই যার গান আমাকে অনেক বেশি অনুপ্রেরণা দিত, যার গান গাইতেই আমি সবচেয়ে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি তিনি পরম শ্রদ্ধার লতাজি। আমি সব সময় তার গান গাইতেই বেশি ভালোবাসি। সঙ্গে পুরোনো দিনের গানই আমাকে বেশি টানে। যেহেতু নিজের মৌলিক গান একটি ছাড়া নেইও, যদি থাকত তখন হয়তো গাইতে পারতাম। আর আগের চেয়ে আমার ভয়েজও এখন পরিপূর্ণ। তাই এলএলবি শেষ করলেও আমার মন প্রাণ জুড়ে আছে গান।’ জাহাঙ্গীর আলম খান ও হালিমা আলম দম্পতির চার কন্যার মধ্যে রাইসাই বড়।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close