অনেকেই অভিনয়ের দুনিয়ায় এসে ধারাবাহিকভাবে থেকে যেতে পারেন না। জীবন চলার পথে নানা চড়াই-উতরাই পেরিয়ে একজন শিল্পীকেও তার পেশাগত কাজে মনোযোগ দিতে হয়। তবে ব্যক্তিজীবনে যারা বিপর্যস্ত থাকেন, তারা অভিনয়ে মনোনিবেশ করতে পারেন না। যে কারণে একসময় তাদের আর অভিনয়ের দুনিয়ায় খুঁজে পাওয়া যায় না। এক্ষেত্রে একজন দীপা খন্দকার অনন্য, অসাধারণ।

অভিনয় জীবনের শুরু থেকে আজ পর্যন্ত তিনি অভিনয়েই নিজেকে ব্যস্ত রেখেছেন। ব্যক্তিজীবনে তিনি যেমন সফল একজন অভিনেত্রী, তেমনি সফল। অভিনেতা শাহেদ আলীকে বিয়ে করার পর দাম্পত্য জীবনে সুখী এই অভিনেত্রী এক ছেলে ও এক মেয়ের মা। সংসার জীবনে দীপা খন্দকার যথেষ্ট সফল। কারণ সংসার জীবনকে বেশ গুরুত্ব দেন তিনি। প্রয়োজনে কাজ কম করবেন, কিন্তু সংসার তার কাছে আগে। তার পরও নাটকে, সিনেমায় নিয়মিত অভিনয় করে যাচ্ছেন। এরই মধ্যে গেল বছর শেষ করেছিলেন শহীদ রায়হানের সিনেমা ‘মনোলেক’।

এরই মধ্যে সিনেমাটি সপ্তম ভারতীয় বিশ্ব চলচ্চিত্র উৎসব’-এ ‘বেস্ট এডিটিং অ্যাওয়ার্ড’ অর্জন করে। সিনেমাটিতে দীপা খন্দকার একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন। এরই মধ্যে শেষ করেছেন সৈয়দ সালাহউদ্দিন জাকী পরিচালিত প্রথম সিনেমা ‘অপরাজেয়’র কাজ। এই সিনেমায়ও তিনি গল্পের কেন্দ্রীয় একটি চরিত্রে অভিনয় করেছেন। এ ছাড়া দীপা দুরন্ত টিভির জন্য নির্মাণ চলতি নতুন ধারাবাহিক ‘অবন্তীকাণ্ড’র কাজ শুরু করেছেন। এটি নির্মাণ করছেন মোহাম্মদ মারুফুজ্জামান খান (মারুফ মিঠু)।

তিনটি কাজ প্রসঙ্গে দীপা খন্দকার বলেন, ‘মনোলোক সিনেমাটি এরই মধ্যে বেস্ট এডিটিং অ্যাওয়ার্ড লাভ করেছে। এ জন্য অমিত দেবনাথকে অভিনন্দন। শহীদ রায়হান ভাইয়ের এই সিনেমায় আমি ও বাবু ভাই স্বামী-স্ত্রীর ভূমিকায় অভিনয় করেছি। আবার আফজাল হোসেন ভাইয়ের সঙ্গে আমি এবারই প্রথম কোনো সিনেমায় অভিনয় করেছি। সালাহ উদ্দিন জাকী ভাইয়ের প্রতিও কৃতজ্ঞ যে তিনি আমাকে এই সুযোগটি সৃষ্টি করে দিয়েছেন। সত্যিই, আফজাল ভাইয়ের সঙ্গে একই সিনেমায় অভিনয় করা আমার অভিনয় জীবনের জন্য অনন্য এক অভিজ্ঞতা হয়ে থাকবে। আর মারুফ মিঠুর নির্দেশনায় দুরন্ত টিভির নতুন ধারাবাহিক অবন্তী কাণ্ডতে অভিনয় করেও বেশ ভালো লাগছে। সব মিলিয়ে আমি আমার অভিনয় জীবন, সংসার জীবন দুটোই আলহামদুল্লিাহ বেশ ভালো। আমি শিল্পী হিসেবে ভীষণ সন্তুষ্ট আমার শিল্পী জীবন ও ব্যক্তিজীবন নিয়ে।’

"