যুক্তরাজ্যের ‘রেক্সাম গ্রিনডর ইউনিভার্সিটি’তে চার বছর আগে ‘ব্যাচেলর অব আর্টস উইথ অনার্স ইন বিজনেস ফর্ম’-এ ভর্তি হয়েছিলেন এ প্রজন্মের ভার্সেটাইল অভিনেত্রী ভাবনা। চার বছরের গ্র্যাজুয়েশন কোর্স সফলতার সঙ্গে শেষ করে গত ১১ মে ভাবনা লন্ডনে এই ইউনিভার্সিটির কনভোকেশনে অংশ নেন। সঙ্গে ছিল তার ছোট বোন। করোনার পর এ ইউনিভার্সিটির এটাই ছিল প্রথম কনভোকেশন। যে কারণে এ গ্র্যাজুয়েশন সম্পন্ন করে কনভোকেশনে অংশ নিয়ে উচ্ছ্বসিত ছিলেন ভাবনা। ৫ শতাধিক গ্র্যাজুয়েশন সম্পন্ন করা শিক্ষার্থীর মধ্যে তিনিই ছিলেন একমাত্র অভিনেত্রী। ইউনিভার্সিটির ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক মারিয়া হিনফিলার হাত থেকে সার্টিফিকেট গ্রহণ করেন ভাবনা। গ্র্যাজুয়েশন শেষ করা এবং দেশের বাইরে থেকে অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে আবেগজড়িত কণ্ঠে ভাবনা বলেন, ‘সত্যিকার অর্থে এই অনুভূতি ভাষায় প্রকাশের নয়, ব্যাখ্যা করাও খুব কঠিন। আমাকে নিয়ে আব্বু আম্মুর অনেক স্বপ্ন ছিল। কনভোকেশনে তারা অংশ নিলে হয়তো আরো ভালো লাগত। আমি আম্মুকে ভিডিওকল দিয়েছিলাম, খুশিতে আম্মু কাঁদছিলেন। এই যে প্রাপ্তি, এটা আমার বাবা-মায়ের আশীর্বাদ, তাদের ভালোবাসা, তাদের সহযোগিতা আর তাদের ছাড় দেওয়ার কারণেই। একটা ভ্রান্ত ধারাণা আছে, নায়িকারা বা অভিনেত্রীরা পড়াশোনা করেন না। আত্মীয়স্বজন কাছে এলে সেলফি তুলে আবার দূরে গেলে আম্মুকে কথা শোনায়। তাদের জন্য আমার এই অর্জন সর্বোচ্চ জবাব। আমি তাদের বেশি করে ধন্যবাদ দিতে চাই, যারা আমাকে জাজ করে, যারা আমাকে ছোট করে কথা বলতে ভুলে না, যারা আমাকে টেনে ফেলে দিতে চায়, যাদের আমাকে দেখলে অনেক হাসি পায়, আমি সত্যি আপনাদের বেশি ভালোবাসি, আপনাদের কারণেই আমি চলতে থাকি নিজের মতো করে, আমি শুধু এটুকুই বলব, আমার লেখাপড়া কেবল শুরু। আরো অনেক কাজ করতে চাই। একটি দিনও আমি বসে থাকতে চাই না। আপনারা আমাকে আশীর্বাদ করবেন।’ ভাবনা জানান, ঢাকার রাইফেলস পাবলিক থেকে এসএসসি এবং বাংলাদেশ রাইফেলস থেকে এইচএসসি সম্পন্ন করেছিলেন। আগামী ২৬ মে তিনি ঢাকায় ফিরবেন। এসেই পরিবারের সঙ্গে আনন্দে মেতে উঠবেন।

"