বিনোদন প্রতিবেদক

  ২৭ অক্টোবর, ২০১৮

রুনা লায়লার গানে মুগ্ধ দর্শক

পোশাকের মধ্যে এ দেশের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য আর আবহমান বাংলাকে তুলে ধরার নিরন্তর চেষ্টা করে আসছে বৈচিত্র্যময় ডিজাইনের মানসম্পন্ন পোশাক প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান ‘আড়ং’। গত ২৫ অক্টোবর রাজধানীর আর্মি স্টেডিয়ামে প্রতিষ্ঠানটির ৪০ বছর পূর্তি অনুষ্ঠানের তিন দিনের প্রথম দিনের অনুষ্ঠানে দর্শক-শ্রোতাদের গান গেয়ে শোনান উপমহাদেশের প্রখ্যাত সংগীতশিল্পী রুনা লায়লা। তার আগে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থেকে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন তিনি। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে মঞ্চে গান গাওয়ার জন্য রুনা লায়লা যখন মঞ্চে ওঠেন, তখন পুরো আর্মি স্টেডিয়াম ভর্তি দর্শকের মধ্যে এক অন্যরকম উন্মাদনা লক্ষ করা যায়। মঞ্চে উঠেই শুরুতে রুনা লায়লা গেয়ে ওঠেন, ‘প্রতিদিন তোমায় দেখি সূর্যর আগে, প্রতিদিন তোমার কথা হৃদয়ে জাগে, ও আমার দেশ, ও আমার বাংলাদেশ’ গানটি। রুনা লায়লার সঙ্গে দর্শকও দেশের প্রতি ভালোবাসা শ্রদ্ধা নিয়ে গানটি গাইতে থাকেন। এরপর রুনা লায়লা একে একে পরিবেশন করেনÑঅনেক বৃষ্টি ঝরে তুমি এলে, দাইয়ারে দাইয়্যা ও দিল ধারকে গানগুলো। কিন্তু এসব গানের পর যখন রুনা লায়লা ‘ইস্টিশনের রেলগাড়িটা’ গানটা গেয়ে ওঠেন, তখন রুনা লায়লার পাশে এসে অনেক দর্শক তার সঙ্গে নাচতে শুরু করেন গানে গানে। রুনা লায়লাও দর্শকের সেই নাচ উপভোগ করার পাশাপাশি গাইতে থাকেন। এরপর রুনা লায়লা গেয়ে ওঠেন ‘আয়রে মেঘ আয়রে’, ‘দে দে পেয়ার দে পেয়ার দে’, ‘সাধের লাউ বানাইলো মোরে’, ‘বন্ধু তিন দিন তোর বাড়ি গেলাম’, ‘এই বৃষ্টি ভেঝা রাতে চলে যেও না’, ‘বাড়ির মানুষ কই আমায়’, ‘ও মেরা বাবু’ ও ‘দামাদাম মাস কালান্দার’। রুনা লায়লার একের পর এক সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানটির সমাপনী টানা হয়। রুনা লায়লা বলেন, ‘আড়ং-এর ৪০ বছর পূর্তি অনুষ্ঠানের শুরুতে থাকতে পেরে সত্যিই ভীষণ ভালো লেগেছে। আরো অনেক বেশি ভালো লেগেছে আমার প্রতিটি গানে দর্শকের নানানভাবে অংশগ্রহণ। দর্শক আগ্রহ নিয়ে গান শুনেছেন, গান শেষে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেনÑএটা একজন শিল্পী হিসেবে আমি ভীষণ উপভোগ করেছি। বিশেষত, ধন্যবাদ দিতে চাই যন্ত্রশিল্পী পার্থ প্রতীম বাপ্পীকে, যার মাধ্যমে এই অনুষ্ঠানের সঙ্গে আমার সম্পৃক্ততা। অবশ্যই আড়ংয়ের সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ।’ ব্র্যাকের সিনিয়র পরিচালক তামারা হাসান আবেদ বলেন, ‘একজন রুনা লায়লা আমাদের দেশের গর্ব। তার গান শুনার জন্য দর্শক অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিলেন। তিনি মঞ্চে উঠে যেভাবে অন্তর থেকে গানগুলো একের পর একে গেয়েছেন, তাতে সে দিনের সেই রাতটার ভীষণ জমে উঠেছিল। সবমিলিয়ে তিনি পুরো পরিবেশটাকে এতটাই উপভোগ্য করে তুলেছিলেন যে, সবাই শেষ গান পর্যন্তই শুনেছেন। কিংবদন্তি এই সংগীতশিল্পীর প্রতি অনেক শ্রদ্ধা।’

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close