আমরা করব জয় এক দিন
এক দিন নয়। আজ সেই দিন। আমরা করব জয়। গত ১৬ মার্চ আমরা তা দেখিয়েছি। উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা ও স্নায়ুচাপের চূড়ান্ত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল ফাইনালে। শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে প্রমাণ করেছে তারাও বিশ্বের যেকোনো দলের বিপক্ষে একটি আতঙ্ক। যেখান থেকে উঠে এসে তারা বিজয়কে ছিনিয়ে এনেছে-এর প্রশংসা না করলেই নয়। তাদের প্রতি দেশের ১৬ কোটি মানুষের শুভেচ্ছা রইল। এখানে একটি কথা না বললেই নয়, দেশের প্রতি প্রগাঢ় ভালোবাসা নিয়ে মাঠে দাঁড়াতে পারলে এ রকম খেলা উপহার দেওয়া সম্ভব। অনেক দিন পরে হলেও আমরা দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে শ্রীলঙ্কার প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে খেলতে দেখলাম একঝাঁক তরুণকে। নাম উচ্চারণ না করেই বলব, দু-একজনের মধ্যে প্রেমে ঘাটতি ছিল। তারা মাহামুদউল্লাহর মাঠে থাকাকালীন অভিব্যক্তির দিকে তাকিয়ে শিখতে পারেন। ভেতরে দেশপ্রেম থাকলে অভিব্যক্তি কী রকম হতে পারে, ১৬ মার্চ প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে মাহামুদউল্লাহই তার
উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।
আমরা মনে করি, আজ দলের প্রতিটি খেলোয়াড় মাহামুদউল্লাহর মতো দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে মাঠে নামবেন। বিশেষ করে যাদের মধ্যে এখনো ঘাটতি আছে, তারা তা শুধরে নেওয়ার চেষ্টা করবেন বলেই আমাদের বিশ্বাস। দলের প্রতিটি সদস্যকে অবশ্যই মনে রাখতে হবে, আজ তারা বিশ্বসেরা একটি দলের বিপক্ষে মাঠে নামছেন। এ দলের বিপক্ষে জিততে হলে সর্বাগ্রে চাই নিখাদ দেশপ্রেম। দলের প্রতিটি সদস্যকে তার নমুনা দেখাতে হবে। আমরা সেই দেশপ্রেমের অভিব্যক্তিই দেখতে চাই প্রতিটি খেলোয়াড়ের মধ্যে। আমরা জানি, খেলায় হারজিৎ খেলারই একটি অংশ। হারা বা জেতা নিয়ে আমাদের কোনো বক্তব্য নেই। আমাদের বক্তব্য অত্যন্ত সহজ এবং সরল। আমরা হারলেও লড়াই করে হারতে চাই। নির্লজ্জের মতো হারাকে কোনো দেশপ্রেমিকই সহজভাবে গ্রহণ করতে পারেন না। আর নির্লজ্জের মতো দল তখনই হারবে, যখন দলটি হবে দেশপ্রেমবিবর্জিত। আমরা আশা করি, আজ ভারতের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের যে দলটি মাঠে নামবে, তাদের চিন্তা ও চেতনায় থাকবে দেশপ্রেমের নির্যাসে গড়া আসাদের মতো, রফিক-শফিক-জব্বারের মতো একঝাঁক তরুণ মুক্তিযোদ্ধা। যারা নিশ্চয়ই জয় ছিনিয়ে আনবে। যেভাবে ১৬ মার্চ শ্রীলঙ্কার কাছ থেকে ছিনিয়ে এনেছে রক্তিম সূর্যটা। এক দিন নয়। আজই। আমরা করব জয়।
"