মারুফা আক্তার মুন্নি, ঢাবি

  ০৯ মে, ২০২৪

‘যে জীবনে স্বপ্ন নেই’

আমরা স্বপ্ন দেখি, স্বপ্ন দেখাই, কিন্তু স্বপ্ন দেখানো মানুষটাই স্বপ্নসমেত ইটপাথরের নগরে হারিয়ে যাই। শুধু স্বপ্নের মানুষটার ম্যাটারিয়ালেস্টিক ভালো থাকার জন্য। কিন্তু তার পর স্বপ্ন দেখা মানুষটা কি আসলেই তার স্বপ্নহীন জগতে ভালো থাকে?

এই মধ্যবিত্তের মধ্যে যেই নব্য আর্টিস্টিক মনন কিংবা বোল্ডভাবে বলতে গেলে সাধ আছে সাধ্য নাই নামক নতুন শ্রেণির উত্থান হলো, তার দায়ভার আসলে কার? ব্যক্তির নিজেরই হবে হয়তো অথবা বাংলা টেক্সটবুকের সেই প্রবন্ধটির যেখানে অন্নবস্ত্রের চাহিদাকে নগণ্য করে মননশীল হতে শেখানো হয়েছিল। কিন্তু নগ্ন বাস্তবতায় এই স্বপ্ন ঠিক কতদিন পুষে রাখা যায়? ২ বছর, ৫ বছর, ১০ বছর? এরপর এইসব আউট অব বক্স চিন্তা করা মানুষগুলোর বাচ্চার স্কুলের ফিস, বৃদ্ধ বাবা-মায়ের ওষুধ কিংবা প্রিয় মানুষটার একটা শখের জিনিসের যোগান কে দিবে? এই শিল্পচর্চা, এই ফ্রি স্পিরিটেড মাইন্ডসেট নাকি শখের দুই লাইন কবিতা? যেই দেশে বস্তা বস্তা নীলক্ষেত কপি কিংবা যেকোনো কন্টেন্টের ফ্রী এক্সেস শূন্য শতাংশ ইফোর্টেই চোখের সামনে ঘুরপাক খায় সেই দেশে মা-বাবা শিল্পের চর্চা সমর্থন করলেও সন্তানকে শিল্পী বানাবেন কেন? সদ্য বিবাহিত থিয়েটার করা ছেলেটা থিয়েটার ছেড়ে চাকরি খুঁজবে না কেন? কিংবা বন্ধুমহলে বেশ পরিচিতমুখ কবি কিংবা কথাসাহিত্যিক বন্ধুটির ১০০ কপিও যখন বিক্রি হয় না তখন সে বিসিএস-এর গাইডবই গিলবে না তো রিকশা চালিয়ে নতুন বই আনবে বুঝি? আমরা আসলে জাতি হিসেবে ভীষণ ডাবল স্ট্যান্ডার্ড। বাজারে ভালো বই নেই, মননশীল কোনো চলচ্চিত্র নেই, ক্লাসিক কোনো মিউজিক নেই করে করে আফসোস করা মানুষরাই আবার দিনশেষে নীলক্ষেতে যেয়ে সস্তা কপি খুঁজি কিংবা নতুন কোনো সিনেমা-সিরিজের ফ্রী এক্সেস খুঁজে বেড়াই। এইটা একবারও ভাবি না যে শিল্পী না বাঁচলে শিল্প বাঁচবে কি করে!

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close