নিজস্ব প্রতিবেদক

  ১৪ এপ্রিল, ২০১৯

প্রযুক্তির কাছে হালখাতা কি টিকবে?

নতুন বছর শুরু মানে নতুন একটি খাতা খোলা, হিসাব-নিকাশ হালনাগাদ করা। হালখাতা শুধু হিসাবের নতুন খাতা খোলা নয়, পাওনা আদায়ের পাশাপাশি ক্রেতাদের আপ্যায়নের বিষয়টিও হাজার বছরের এ ঐতিহ্যের সঙ্গে জড়িয়ে আছে।

বাংলা উইকিপিডিয়ার তথ্যমতে, হালখাতা হলো বঙ্গাব্দ বা বাংলা সনের প্রথম দিনে দোকানপাটের হিসাব আনুষ্ঠানিকভাবে হালনাগাদ করার প্রক্রিয়া। বছরের প্রথম দিনে ব্যবসায়ীরা তাদের দেনা-পাওনার হিসাব সমন্বয় করে এদিন হিসাবের নতুন খাতা খোলেন। এজন্য ক্রেতাদের বিনীতভাবে পাওনা শোধ করার কথা স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়।

এ উপলক্ষে নববর্ষের দিন ব্যবসায়ীরা তাদের পাইকারি খরিদ্দারদের মিষ্টিমুখ করান। খরিদ্দাররাও তাদের সামর্থ্য অনুযায়ী পুরোনো দেনা শোধ করে দেন। আগেকার দিনে ব্যবসায়ীরা একটিমাত্র মোটা খাতায় তাদের যাবতীয় হিসাব লিখে রাখতেন। ওই খাতাটি বৈশাখের প্রথম দিনে নতুন করে হালনাগাদ করা হতো। হিসাবের খাতা হালনাগাদ করা থেকে ‘হালখাতা’র উদ্ভব। শুধু বাংলাদেশ নয়, ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় ছোট-বড়-মাঝারি যেকোনো দোকানেই এটি পালন করা হয়ে থাকে। যদিও কম্পিউটারাইজড হিসাব পদ্ধতি চালু হওয়ায় এখন উঠে যাচ্ছে ঐহিত্যবাহী হালখাতার প্রথা।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close