প্রতিদিনের সংবাদ ডেস্ক

  ১৩ আগস্ট, ২০২২

থাইল্যান্ড গেছেন গোতাবায়া

তুমুল বিক্ষোভের মুখে দেশ ছেড়ে পালানো শ্রীলঙ্কার ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসে সিঙ্গাপুর থেকে থাইল্যান্ডে গেছেন। তিনি দেশটিতে তিন মাস থাকার সুযোগ পাবেন। প্রায় এক মাস সিঙ্গাপুরে থাকার পর বৃহস্পতিবার থাইল্যান্ড যান গোতাবায়া। খবর রয়টার্সের।

থাই কর্তৃপক্ষ জানায়, স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার রাত ৮টায় (১৩.০০ জিএমটি) একটি চার্টার্ড ফ্লাইটে করে গোতাবায়া ব্যাংককের ডন মুয়াং বিমানবন্দরে নামেন। কূটনৈতিক পাসপোর্ট থাকায় তিনি থাইল্যান্ডে এমনিতেই ৯০ দিন পর্যন্ত থাকতে পারবেন।

তবে ঠিক কোথায় তিনি থাকবেন তা প্রকাশ করা হয়নি। বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জে প্রায় ৪০ মিনিট অবস্থান করে গোতাবায়া তার স্ত্রীকে নিয়ে কালো রঙের একটি সেডানে চড়ে অজ্ঞাত স্থানে চলে যান।

আগের দিনই গোতাবায়ার থাইল্যান্ড যাওয়ার খবর নিশ্চিত করে সিঙ্গাপুরের অভিবাসন কর্তৃপক্ষ। গণবিক্ষোভের মুখে শ্রীলঙ্কা থেকে পালিয়ে জুলাইয়ের দ্বিতীয় সপ্তাহে সিঙ্গাপুরে পৌঁছান গোতাবায়া।

স্বাধীনতার পর গত সাত দশকে দেখা সবচেয়ে বাজে অর্থনৈতিক সংকটে বীতশ্রদ্ধ জনগণের নজিরবিহীন বিক্ষোভের মুখে পালিয়ে সিঙ্গাপুর যাওয়ার পরই শ্রীলঙ্কার সাবেক এ সেনা কর্মকর্তা প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করেছিলেন; তার কয়েক দিন আগে হাজারও বিক্ষোভকারীকে প্রেসিডেন্টের সরকারি বাসভবন ও কার্যালয়ে ঢুকে সেগুলোর দখল নিতে দেখা গিয়েছিল।

মাঝপথে দায়িত্ব ছাড়া প্রথম এ লঙ্কান প্রেসিডেন্টের থাইল্যান্ডে রাজনৈতিক আশ্রয় চাওয়ার ইচ্ছা নেই এবং তিনি স্বল্প সময় দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দেশটিতে থাকবেন বলে জানিয়েছে থাই কর্তৃপক্ষ।

থাই প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুথ চান-ওচা বুধবার সাংবাদিকদের জানান, ‘এটা একটা মানবিক বিষয় এবং তিনি অল্প কিছুদিনই থাকবেন এমন সমঝোতা হয়েছে। থাইল্যান্ডে থাকাকালে গোতাবায়া রাজাপাকসে কোনো রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশ নিতে পারবেন না।’

থাইল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডন প্রামুদউইনাই বলেন, গোতাবায়ার থাইল্যান্ডে অবস্থানের বিষয়ে শ্রীলঙ্কা সরকারের সমর্থন আছে, সাবেক এই প্রেসিডেন্টের কূটনৈতিক পাসপোর্ট তাকে ৯০ দিন থাকার সুযোগ দিচ্ছে। এ সময়ে অন্য কোনো দেশে স্থায়ী আশ্রয় লাভের চেষ্টা করবেন তিনি।

শ্রীলঙ্কা ছাড়ার পর গোতাবায়া রাজাপাকসেকে কখনোই জনসমক্ষে দেখা যায়নি। তার দেশ ছেড়ে চলে যাওয়া বা কোনো দেশে আশ্রয় নেওয়ার বিষয়ে গণমাধ্যমগুলো সরব থাকলেও কোনো বিষয় নিয়ে কোনো মন্তব্যও করেননি তিনি। শ্রীলঙ্কায় বর্তমানে প্রেসিডেন্ট পদে রয়েছেন রাজাপাকসে পরিবারেরই আস্থাভাজন রনিল বিক্রমাসিংহে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close