২০১৭ সালে দায়িত্ব শুরুর পর নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জাসিন্ডা আরডার্নের জনপ্রিয়তা সবচেয়ে নিচে নেমে গেছে। জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধি এবং করোনা মহামারি ছড়িয়ে পড়া তার জনপ্রিয়তায় ভাটা ফেলেছে। তবে এখনো নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে জাসিন্ডাকেই সমর্থন করছেন বেশির ভাগ বাসিন্দা। খবর গার্ডিয়ানের।

সবশেষ ওয়ান নিউজ জনমত জরিপে দেখা গেছে, জাসিন্ডা আরডার্নের জনপ্রিয়তা চার পয়েন্ট কমেছে। বর্তমানে তাকে সমর্থন করছেন ৩৫ শতাংশ মানুষ। ২০১৭ সালে মেয়াদ শুরুর পর এটাই তার সবচেয়ে কম জনপ্রিয়তা। তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী নতুন জাতীয় নেতা ক্রিস্টোফার লুক্সন জনমত জরিপে খানিকটা এগিয়ে গেলেও জাসিন্ডার অনেক পেছনে তিনি। ১৩ শতাংশ থেকে বেড়ে লুক্সনের জনপ্রিয়তা দাঁড়িয়েছে ১৭ শতাংশে।

নিউজিল্যান্ডের এক অস্থির সময়ে এই জনমত জরিপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। করোনা মহামারি ছড়িয়ে পড়া দেশটিতে অস্থিরতা দেখা যাচ্ছে। বৃহস্পতিবার দেশটিতে নতুন করে ৩৪ জনের ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হয়েছে। আক্রান্ত বাড়ায় বিয়ে, বিমানবন্দর, সংগীত উৎসব সীমাবদ্ধ করা হয়েছে। কর্মকর্তাদের আশঙ্কা আগামী কয়েক সপ্তাহে দৈনিক শনাক্তের পরিমাণ হাজার ছাড়াবে।

জনমত জরিপে জনপ্রিয়তা কমলেও নিজের সরকারের অবস্থানের পক্ষে অটল রয়েছেন জাসিন্ডা আরডার্ন। ওয়ান নিউজকে দেওয়া এক প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, ‘গত ছয় মাসের দিকে তাকালে দেখা যাবে, নিউজিল্যান্ডের জন্য এটা কঠিন সময় ছিল। আর আমাদের সত্যিই কঠিন কিছু সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে। কিন্তু ওই সিদ্ধান্তগুলো এখনো বহাল আছে আর আমি সেগুলোর সঙ্গেই আছি।’ জনমত জরিপে আরো দেখা গেছে, অর্থনৈতিক অবস্থা নিয়ে হতাশ নিউজিল্যান্ডের বহু বাসিন্দা। ৪৯ শতাংশ মনে করে অর্থনীতি আরো খারাপ হচ্ছে আর ২২ শতাংশ মনে করে ভালো হচ্ছে। গত দুই বছর ধরেই সংকটে আছে নিউজিল্যান্ডের অর্থনীতি। বৃহস্পতিবার দেশটির মুদ্রাস্ফীতি ৩০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে ৫ দশমিক ৯ শতাংশে পৌঁছায়।

"