আন্তর্জাতিক ডেস্ক

  ০৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

ত্রিপোলিতে সংঘর্ষে নিহত ৩৯, জরুরি অবস্থা জারি

লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলিতে সশস্ত্র গ্রুপগুলোর মধ্যে গত কয়েক দিনের সংঘর্ষে অন্তত ৩৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে ত্রিপোলি ও এর আশপাশে জরুরি অবস্থা জারি করেছে দেশটির জাতিসংঘ সমর্থিত সরকার। গত রোববার সরকারের তরফ থেকে এক ঘোষণায় এ জরুরি অবস্থা জারি হয়। গতকাল আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়, সশস্ত্র গ্রুপগুলোর ভয়াবহ সংঘর্ষে অন্তত ৩৯ জনের প্রাণহানি ও শতাধিক লোক আহত হওয়ায় সরকার এই সিদ্ধান্ত নিল।

গভর্নমেন্ট অব ন্যাশনাল অ্যাকর্ড (জিএনএ) বলে পরিচিতি পশ্চিমা সমর্থিত সরকারের ওই বিবৃতিতে বলা হয়, চলমান ভয়াবহ পরিস্থিতি বিবেচনায় জনস্বার্থে জরুরি অবস্থা জারি করছে প্রেসিপেন্সিয়াল কাউন্সিল, যাতে নাগরিকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায় এবং সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান সুরক্ষিত রাখা যায়। সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়, এক সপ্তাহ আগে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে শুরু হওয়া সংঘর্ষকালে সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো রকেট হামলা পর্যন্ত চালিয়েছে। এ কারণেই বিপুলসংখ্যক বেসামরিক লোকের প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

অবশ্য সংঘর্ষ থামাতে অনেক নাগরিকই পশ্চিমা সমর্থিত সরকারের ব্যর্থতার অভিযোগ তুলেছেন। ২০১১ সালে লিবিয়ার দীর্ঘদিনের নেতা মুয়াম্মার গাদ্দাফি ক্ষমতাচ্যুত ও হত্যাকা-ের শিকার হওয়ার পর দেশটিতে চরম বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয় এবং তার পর থেকে এ সহিংসতা অব্যাহত রয়েছে।

ত্রিপোলির কারাগার থেকে ৪০০ বন্দির পলায়ন : লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলির কাছে একটি কারাগার থেকে অন্তত ৪০০ বন্দি পালিয়ে গেছে। পুলিশ জানিয়েছে, শহরে কয়েকটি সশস্ত্র গোষ্ঠীর মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের সুযোগে এসব বন্দি পালিয়ে যায়।

ত্রিপোলির নিকটবর্তী আইন জারা কারাগারের বন্দিরা জেলখানার দরজা ভেঙে সদলবলে বেরিয়ে যায়। পুলিশ আরো জানিয়েছে, কারাগারের নিরাপত্তা রক্ষীরা প্রাণভয়ে পলায়নরত বন্দিদের বাধা দেয়ার চেষ্টা করেননি। সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে সংঘর্ষের জের ধরে লিবিয়ার জাতিসংঘ-সমর্থিত সরকার নগরীতে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করতে বাধ্য হয়েছে।কারাগারে আটক বন্দিদের বেশিরভাগ সাবেক লিবীয় নেতা মুয়াম্মার গাদ্দাফির অনুসারী বলে জানা গেছে। ২০১১ সালে গাদ্দাফিবিরোধী গণঅভ্যুত্থানের সময় এসব ব্যক্তি বিক্ষোভ দমন করতে গিয়ে বহু মানুষকে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

২০১১ সালের শেষদিকে গাদ্দাফি ক্ষমতাচ্যুত ও নিহত হওয়ার পর থেকে লিবিয়ায় সহিংসতা অব্যাহত রয়েছে।

গাদ্দাফি সরকারের পতনের পর দেশটিতে বহু সশস্ত্র গোষ্ঠীর জন্ম হয় এবং এসব গোষ্ঠী একেকটি এলাকার নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করে। বর্তমানে জাতিসংঘ সমর্থিত একটি সরকার রাজধানী ত্রিপোলির ক্ষমতায় থাকলেও লিবিয়ার বেশিরভাগ এলাকা সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো নিয়ন্ত্রণ করছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close