আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আইএস হটানোর পর প্রথম সাধারণ নির্বাচনে ইরাক
মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটকে পরাজিত করে তাদের দখলে থাকা ভূমি পুনরুদ্ধারের পর প্রথম সাধারণ নির্বাচনে ভোট দিচ্ছে ইরাকি জনগণ। গতকাল স্থানীয় সময় সকাল ৭টা থেকে পশ্চিম এশিয়ার এ দেশটিতে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে বিবিসি। ভোটগ্রহণ চলে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত। ৩২৯ আসনবিশিষ্ট অ্যাসেম্বলির সদস্য হতে প্রতিদ্বন্দ্বী জোটগুলোর সদস্যসহ প্রায় ৭ হাজার প্রার্থী এবারের নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) সঙ্গে চার বছরের যুদ্ধে বিপর্যস্ত ইরাক এখনো পুনর্গঠনের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে, তার মধ্যেই এবারের সাধারণ নির্বাচনকে দেশটির স্থিতিশীলতার জন্য গুরুৎপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। পর্যবেক্ষকরা বলেছেন, নির্বাচনে যারাই জিতুক না কেন, গোষ্ঠীগত দ্বন্দ্ব ও বিচ্ছিন্নতাবাদের উত্তেজনাকে কমিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে দেশ পরিচালনাই তাদের জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে। গতকাল ভোটে অংশ নেওয়া প্রার্থীদের বেশিরভাগই হয় সুন্নি না হয় শিয়া বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিত্ব করছেন; এর বাইরে কুর্দিদেরও আলাদা তালিকা আছে। গত বছরের সেপ্টেম্বরে কুর্দি নিয়ন্ত্রিত স্বায়ত্তশাসিত কুর্দিস্তান এক গণভোটের মাধ্যমে নিজেদের স্বাধীন ঘোষণার পথে এগিয়ে গেলেও বাগদাদ তাতে বাদ সাধে। তুরস্কসহ সীমান্তবর্তী দেশগুলোও স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে কুর্দিস্তানকে মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানায়। কুর্দি নিয়ন্ত্রিত এলাকাগুলোতেও এবারের ভোটে রমরমা প্রচার দেখা গেছে বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
আইএস হটানো, দেশজুড়ে নিরাপত্তা বৃদ্ধিসহ নানান বিষয়ে ইরাকি জনগণ বর্তমান শিয়া নেতৃত্বাধীন সরকারের প্রশংসা করলেও অনেকেই সরকারের দুর্নীতি ও দুর্বল অর্থনৈতিক অগ্রগতির সমালোচনা করছেন।
‘আমি ভোটে অংশ নেব এবং ব্যালটে ক্রস চিহ্নে টিক দেব। কোনো নিরাপত্তা নেই, কোনো চাকরি নেই, কোনো সেবা নেই। প্রার্থীরা সবাই নিজেদের পকেট ভরার চিন্তায় মশগুল, জনগণের সহায়তার চিন্তায় নয়,’ বলেন ৬১ বছর বয়েসী কসাই জামাল মাওয়াসাওয়াইয়ি।
ছয় বিশ্বশক্তির সঙ্গে ২০১৫ সালে হওয়া ইরানের পরমাণু চুক্তি থেকে ট্রাম্পের বেরিয়ে যাওয়ার কয়েক দিনের মধ্যে ইরাকের এবারের সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
আমেরিকা ও ইরানের দ্বৈরথে পূর্বের মতো এবারও ইরাককেই দায় চুকাতে হয় কি না, তা নিয়েও শঙ্কা আছে অনেক ইরাকির।
"