আন্তর্জাতিক ডেস্ক

  ১৮ জানুয়ারি, ২০১৮

৭৬ পূর্ণ করলেন স্টিফেন হকিং

‘চিকিৎসকরা ভেবেছিলেন, আমি মারা যাচ্ছি, তাই তারা লাইফ সাপোর্ট যন্ত্রটি খুলে দিতে বলেন জেনকে (স্টিফেন হকিংয়ের প্রথম স্ত্রী জেন ওয়াইল্ড)। কিন্তু জেন তাদের কথায় পাত্তা দেয়নি। সে যন্ত্রটি খুলতে নিষেধ করে। জোর দিয়ে বলে, আমি কেমবিজ্রে ফিরে যাব। এরপরের নিবিড় পরিচর্যার সপ্তাহগুলো আমার জীবনের অন্ধকার সময়’Ñএভাবেই ২০১৩ সালের করা এক প্রামাণ্যচিত্রে বলছিলেন জীবন্ত কিংবদন্তি, তাত্ত্বিক পদার্থবিদ, মহাবিশ্বতত্ত্ববিদ ও লেখক স্টিফেন হকিং। গত ৮ জানুয়ারি ছিল এই কিংবদন্তির ৭৬তম জন্মদিন। মজার ব্যাপার হলো, ১৯৬৩সালে মাত্র ২১ বছর বয়সে যখন তিনি মরণব্যাধি মোটর নিউরন ডিজিজ, যা এমায়োট্রফিক ল্যাটারাল সেক্লরোসিস (এএলএস) আক্রান্ত হন, চিকিৎসকরা বলেছিলেন তিন আর দুই বছর বাঁচবেন। আরো বলেন, হয়তো তিনি তার ২৫তম জন্মদিনটি পাবেন না। কেননা, এই রোগে আক্রান্ত বেশির ভাগ মানুষই রোগ ধরা পড়ার তিন থেকে চার বছরের মধ্যে মারা যান। তবে চিকিৎসকের ভবিষদ্বাণী আর সব অতীত ইতিহাসকে ভুল প্রমাণ করে স্টিফেন হকিং পা রাখলেন ৭৭ বছরে। বেঁচে গেলেও হকিংয়ের কথা বলার, চলাফেরার ক্ষমতা কেড়ে নিয়ে যায় মোটর নিউরন ব্যাধি। তবে এতেও থেমে থাকেননি তিনি। ১৯৮৮ সালে তিনি লেখেন ‘এ ব্রিফ হিস্ট্রি অব টাইম’। সারা বিশ্বে বইটি এক কোটিরও বেশি কপি বিক্রি হয়। যেহেতু হকিং কথা বলতে ও নড়াচড়াকরতে পারেন না, তাই তিনি কথা বলেন ভয়েস সিনথেসাইজারের মাধ্যমে। তার মুখের পেশির নড়াচড়ার অনুযায়ী কথা বলে যন্ত্র। এ ছাড়া গলার কম্পাংক ও চোখের পাতার নড়াচড়ার মাধ্যমে তিনি কম্পিউটারে লিখতে পারেন বা ভয়েস জেনারেট করতে পারেন।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist