রাজশাহী ব্যুরো

  ১৯ এপ্রিল, ২০২৪

রাজশাহী

শর্ত পূরণ করায় ৪১ কিশোরকে মুক্তি

রাজশাহীতে লঘু অপরাধে দণ্ড পাওয়া ৪১ কিশোরকে মুক্তি দিয়েছেন আদালত। ভালো কাজে যুক্ত হওয়ার শর্ত পূরণ করায় তাদের মুক্তি দেওয়া হয়। এসব কিশোরের নামে জেলার বিভিন্ন থানায় মামলা হয়েছিল। ৬ মাস আগে এসব মামলায় আদালত প্রবেশন কর্মকর্তার অধীনে তাদের জামিন দেন এবং কিছু ভালো কাজ করার নির্দেশনা দেন। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে বিদ্যমান মামলার বাদী ও শিশুর অভিভাবকের উপস্থিতিতে শিশুর চারিত্রিক, মানসিক, আবেগীয় উন্নতির জন্য উপযুক্ত শর্তগুলো পালনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক মো. হাসানুজ্জামান এ রায় দেন।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত রাজশাহীতে শিশু আইনে হওয়া মামলার মধ্যে মাদক সেবন ও বহন, মারামারির মতো ঘটনায় ৩৪টি মামলায় আসামি হয়েছিল ৪১ জন। তাদের প্রথমবারের মতো এমন অপরাধে অপরাধী হওয়ায় আদালত তাদের ৬ মাস আগে জামিন দিয়ে বিভিন্ন ভালো কাজের পরামর্শ দেন। জেলা প্রবেশন কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান বলেন, প্রবেশন বলতে বোঝায় কোনো অপরাধীকে তার প্রাপ্য শাস্তি স্থগিত রেখে ও কারাগারে না পাঠিয়ে সমাজে খাপ খাইয়ে চলার সুযোগ দেওয়া। প্রবেশন ব্যবস্থায় প্রথম ও লঘু অপরাধে দণ্ডিত শিশু-কিশোর বা অন্য কোনো প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তিকে কারাগারে না পাঠিয়ে আদালতের নির্দেশে শর্তসাপেক্ষে প্রবেশন কর্মকর্তার তত্ত্বাবধানে নিজ বাসায় বা পরিবারের সঙ্গে থাকার সুযোগ দেওয়া হয়।

রাজশাহীর শিশু আদালত-২-এর বিচারক এসব শিশুর কল্যাণে পারিবারিক সম্মেলনের মাধ্যমে ডাইভারশন গ্রহণের জন্য প্রবেশন কর্মকর্তাকে আদেশ দেন। আদালতের আদেশে আমরা বিদ্যমান মামলার বাদী ও শিশুর অভিভাবকের উপস্থিতিতে শিশুর চারিত্রিক, মানসিক, আবেগীয় উন্নতির জন্য উপযুক্ত শর্তগুলো আরোপ করি। ডাইভারশনের মেয়াদ সম্পন্ন এবং আরোপিত শর্তগুলো যথাযথভাবে প্রতিপালন করায় আদালত বৃহস্পতিবার ৪১ জন শিশুকে চূড়ান্ত মুক্তি দিলেন। প্রবেশন কর্মকর্তারা বলেন, বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির আওতায় যেসব শর্তে জামিন পেয়েছিল কিশোররা, তারা সেগুলো পালন করেছে। তারা পর্যবেক্ষণের পাশাপাশি এসব মামলার বাদীর সঙ্গে কথা বলেছেন। দুই পক্ষই এমন নিষ্পত্তিতে খুশি। গত সোমবার সকালে মুক্তিপ্রাপ্ত কিশোরদের হাতে ফুল আর জাতীয় পতাকা দিয়ে তাদের আর কোনো অপরাধে না জড়ানোর আহ্বান জানান বিচারক মো. হাসানুজ্জামান। তাদের পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন তাদের অভিভাবকরা। এ সময় শিশুদের তাদের পরিবারের সঙ্গে, স্বজনের সঙ্গে ভালো আচরণ করা, মুক্তিযুদ্ধ এবং ধর্মীয় বই পড়া, গাছ লাগানোসহ কোনো ধর্মের অবমাননা না করার নির্দেশনা দেওয়া হয়।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close