নিজস্ব প্রতিবেদক

  ১৯ এপ্রিল, ২০২৪

কারিগরি কারণে বোতল সয়াবিন তেলের দাম বেড়েছে

- বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী

কারিগরি কারণে খোলা সয়াবিন তেলের দাম কমাতে পারলেও বোতলজাত সয়াবিনের দাম বাড়াতে হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু। গতকাল বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে মন্ত্রণালয় সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ভোজ্যতেল সমিতির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ট্যারিফ কমিশনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হয়েছে। ট্যারিফ কমিশনের পক্ষ থেকে আমরা আন্তর্জাতিক বাজার মনিটর করি। বিভিন্ন আমদানি করা পণ্যের যৌক্তিক নির্দেশক মূল্য আমরা ট্যারিফ কমিশনের মাধ্যমে অবগত হই, যাতে মূল্যটা যৌক্তিক পর্যায়ে রাখতে পারি। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) একটা বিশেষ বিবেচনায় ভোক্তা পর্যায়ে ১৫ শতাংশ ভ্যাট অব্যাহতি দিয়েছিল। আমদানি পর্যায়ে ভ্যাট ১৫ শতাংশ থেকে ১০ শতাংশ করা হয়েছিল। আমরা হয়তো ধরে নিয়েছিলাম, আমদানি করার পর দাম বাড়বে। কিন্তু দুটি সার্কুলার ছিল। একটি হচ্ছে, আমদানি পর্যায়ের, আরেকটি ভোক্তা পর্যায়ের সরাসরি মিল গেট থেকে। তিনি আরো বলেন, আমাদের এনবিআর খুবই তৎপর রাজস্ব সংগ্রহের জন্য। আমরা কিছু আলোচনা করার আগে, তেল উৎপাদনের মিলগুলোয় চিঠি চলে গেছে। ১৬ এপ্রিল থেকে যে মালগুলো বের হবে তাদের ১৫ শতাংশ ভ্যাট দিয়ে মাল বের করতে হবে। যদিও ইচ্ছা ছিল, একটু সময় নিয়ে ব্যাপারটা দেখব। কিন্তু আসলে সেই সুযোগ ছিল না।

প্রতিমন্ত্রী টিটু বলেন, আমরা একটু দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়ার চেষ্টা করেছি, এজন্য যতক্ষণ পর্যন্ত আমরা সিদ্ধান্ত না দেব, বাজারে সাপ্লাইয়ের একটা ব্যাঘাত ঘটবে। এটা যাতে না হয়, সেজন্যই আমরা এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তিনি বলেন, আমরা যখন দাম বাড়াই, সেটা তাৎক্ষণিক কার্যকর হয় কেন- এমন প্রশ্ন থাকতে পারে। আসলে মিলগেট থেকে ভ্যাট দিয়ে পণ্য বের করতে হয়। যে কারণে এখানে অতিরিক্ত সময় দেওয়ার সুযোগ থাকে না আমাদের কাছে। আর আমদানি করে মিলগেটে এনে প্রসেস করতে ১৫ থেকে ২০ দিন সময় লাগে। তিনি আরো বলেন, খোলা সয়াবিন যেটা ১৪৯ টাকা ছিল লিটার, সেটা ২ টাকা কমিয়ে সর্বোচ্চ ১৪৭ টাকায় বিক্রি হবে। আর বোতলের ১ লিটার সয়াবিনের দাম ১৬৩ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৬৭ টাকা করা হয়েছে। ৫ লিটার সয়াবিনের বোতল ৮০০ টাকা ছিল, সেটা বাড়িয়ে ৮১৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। সুপার পাম অয়েলের দাম আগে নির্ধারণ করা ছিল না, এবার সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য লিটার ১৩৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

খোলা সয়াবিনের দাম কমল, বোতলের সয়াবিনের দাম বাড়ার কারণ কী- জানতে চাইলে তিনি বলেন, কিছু টেকনিক্যাল কারণে খোলা সয়াবিনের দাম আমরা কমাতে পেরেছি। আর বোতল যেহেতু লেবেল করা থাকে এবং সিলড করা থাকে, ওখানে খুচরা পর্যায়ের ভ্যাট ফ্যাক্টরি পর্যায়ে আদায় করা হয়। ফলে খোলা তেলের বাজারে একটা ফ্লেক্সিবিলিটি আছে, যেটা বোতলজাত তেলের ক্ষেত্রে নেই। আহসানুল ইসলাম বলেন, তেলের মূল্য কমানোর সর্বোচ্চ চেষ্টা আমরা করেছি। কিন্তু সব বোঝা যদি আমরা উৎপাদকের কাঁধে চাপিয়ে দিই, তাহলে তারা নিরুৎসাহিত হবেন। এতে সাপ্লাই চেইনে অসুবিধা হবে। কাজেই সাপ্লাই চেইন নিরবচ্ছিন্ন রাখতে সয়াবিন এ সমন্বয় করা হয়েছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close