হাসপাতালে দায়িত্বরত অবস্থায় দুই চিকিৎসকের ওপর হামলার প্রতিবাদে গত রবিবার দুই ঘণ্টার কর্মবিরতি পালনের ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ), চট্টগ্রাম শাখা।

গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের সামনে চিকিৎসকদের বিভিন্ন সংগঠনের অংশগ্রহণে আয়োজিত মানববন্ধন থেকে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।

মানববন্ধন থেকে ঘোষণা দেওয়া হয়, দুই চিকিৎসকের ওপর হামলায় জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করা না হলে আগামী রবিবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে দুই ঘণ্টা কর্মবিরতি ও সোমবার দিনব্যাপী সর্বাত্মক প্রাইভেট প্র্যাকটিস বন্ধের কর্মসূচি দেওয়া হয়।

গত ১১ এপ্রিল রাতে পটিয়া জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক রক্তিম দাশ (২৯) ওপর এ হামলা করে দুর্বৃত্তরা। এর দুদিন পর ১৪ এপ্রিল সকালে চট্টগ্রাম মেডিকেল সেন্টার হাসপাতালে স্বজনদের হামলা শিকার হন ওই হাসপাতালের চিকিৎসক রিয়াজ উদ্দিন শিবলু।

মানববন্ধনে বিএমএ নেতারা বলেন, পেশাগত দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে নানাভাবে নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন চিকিৎসকরা। একের পর এক চিকিৎসকের ওপর হামলা ঘটনা ঘটলেও উপযুক্ত বিচার না হওয়ার কারণে চিকিৎসকদের ওপর হামলা বেড়েই চলছে। সার্বিকভাবে চিকিৎসকরা কর্মক্ষেত্রে খুবই অনিরাপদ। চিকিৎসকদের সুরক্ষায় শক্তিশালী আইন থাকা দরকার। অবিলম্বে সব দোষীকে গ্রেপ্তার করে আইন আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।

চট্টগ্রাম মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) উদ্যোগে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে যোগদেন স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) ও পেডিয়াট্রিক্স ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন, ইন্টার্ন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন এবং বেসরকারি হাসপাতাল সমিতি এ মানববন্ধনে অংশ নেন। সমাবেশে বিএমএ চট্টগ্রাম শাখার সভাপতি মুজিবুল হক বলেন, ঘটনার পাঁচ দিন পর বিএমএর পক্ষ থেকে কর্মসূচি দেওয়া হয়েছে। আমরা অপেক্ষা করছিলাম সুষ্ঠু বিচার পাব। কিন্তু কোনো অগ্রগতি না থাকায় আমাদের বাধ্য হয়ে রাস্তায় নামতে হয়েছে। দুটি ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি। তিনি আরো বলেন, পটিয়ার ঘটনায় অভিযুক্ত ব্যক্তি স্থানীয় এমপির পাশে দাঁড়িয়ে পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠান করছেন। অথচ পুলিশ বলছে অভিযুক্তকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। পুলিশের এমন ভূমিকা রহস্যজনক। মানববন্ধনে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. শাহানা আক্তারসহ বিএমএ, স্বাচিপ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

"