নিজস্ব প্রতিবেদক
ভাসানটেকে বিস্ফোরণ
স্ত্রী ও শাশুড়ির পর চলে গেলেন লিটন
রাজধানীর ভাসানটেক কালভার্ট রোডে গ্যাস সিলিন্ডার লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে দগ্ধ লিটন (৪৮) মারা গেছেন। শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল মঙ্গলবার সকালে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় এখনো হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে লিটনের ৩ সন্তান।
বার্ন ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগের আবাসিক চিকিৎসক ডা. তরিকুল ইসলাম তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ভাসানটেকের ঘটনায় দগ্ধ লিটন গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৬টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। তার শরীরের ৬৭ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। এর আগে তার স্ত্রী সূর্য বানু (৩০) ও শাশুড়ি মেহেরুন্নেছা (৮০) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
তিনি আরো বলেন, এ ঘটনায় লিটনের ৩ সন্তান ভর্তি রয়েছে। তাদের অবস্থাও গুরুতর। এর আগে, গত শুক্রবার ভোর ৪টার দিকে ভাসানটেক নতুন বাজার কালভার্ট রোডের ৪/১৩ নম্বর বাসায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে দগ্ধ হন মো. লিটন (৪৮), তার স্ত্রী সূর্য বানু (৩০), তাদের ৩ সন্তান লিজা (১৮), লামিয়া (৭), সুজন (৮) ও লিটনের শাশুড়ি মেহরুন্নেছা (৮০)।
তাদের প্রতিবেশী ভাড়াটিয়া ময়না বেগম বলেন, লিটনের বাড়ি ময়মনসিংহ। পরিবার নিয়ে কালভার্ট রোডের দোতলা বাড়িটির নিচতলায় ভাড়া থাকতেন। এলাকাতেই ফার্নিচার ব্যবসা রয়েছে তার। রাতে ওই বাসায় সবাই ঘুমিয়ে ছিলেন। ভোরে লিটন মশার কয়েল জালানোর জন্য দিয়াশলাই জালাতেই আগুনের ঘটনা ঘটে। এতে পরিবারটির ছয়জনই দগ্ধ হন।
তিনি বলেন, বাসাটিতে গ্যাস সিলিন্ডার দিয়ে রান্না করতেন তারা। সবাই ধারণা করছেন, সিলিন্ডার থেকে লিকেজের কারণে বাসায় গ্যাস জমে ছিল। মশার কয়েলের জন্য দিয়াশলাই জ্বালাতেই সেই গ্যাস থেকেই এই বিস্ফোরণ ঘটেছে।
বর্তমানে লিটনের মেয়ে লিজা শরীরের ৩০ শতাংশ, লামিয়া ৫৫ শতাংশ, সুজন ৪৩ শতাংশ দগ্ধ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছে।
"