নিজস্ব প্রতিবেদক
আরো বৃষ্টি হতে পারে, বাড়বে তাপমাত্রা
তাপমাত্রা বাড়ায় শীত আরো কমেছে। মাঘের শীতে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হয়েছে। আগামী কয়েক দিন আরো বৃষ্টি হতে পারে। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজধানীতে বৃষ্টি কর্মস্থল থেকে ঘরে ফেরা মানুষ বিপাকে পড়েন। গতকাল দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায়। একদিন আগে যা ছিল ৯ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দেশের কোথাও আর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেই। তবে শীতের অনুভূতি অনেকটাই কমে গেছে। ঢাকায় শীত যায় যায় করছে। গতকাল ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৭ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে বেড়ে হয়েছে ১৭ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল আবহাওয়া অফিস সূত্রে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
বুধবার সকাল ৬টা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় খুলনা, বরিশাল, ঢাকা বিভাগে বৃষ্টি হয়েছে। এ সময় সবচেয়ে বেশি ৩৪ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে সাতক্ষীরায়। এর আগে বুধবার রাতে ঢাকায়ও বৃষ্টি হয়েছে।
আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক জানান, বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে আগামী ২৪ ঘণ্টায় খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রাজশাহী, ঢাকা ও ময়মনসিংহ বিভাগের কুয়েক জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারা দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘনকুয়াশা পড়তে পারে। ঘনকুয়াশার কারণে অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন যোগাযোগে সাময়িকভাবে বিঘ্ন ঘটতে পারে।
আজ শুক্রবার সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল এবং চট্টগ্রাম বিভাগের দুয়েক জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি হতে পারে। সারা দেশে রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকবে। আগামীকাল শনিবার সারা দেশে রাতের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে। পরবর্তী পাঁচ দিনে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা রয়েছে বলেও পূর্বাভাসে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
উলিপুর (কুড়িগ্রাম) জানান, কুড়িগ্রামের উলিপুরে নিউমোনিয়া, জ্বর, সর্দি-কাশি, ডায়রিয়াসহ ঠাণ্ডাজনিত রোগের প্রকোপ বেড়েছে। ৫০ শয্যার হাসপাতলে অন্তর্বিভাগে প্রতিদিন গড়ে অন্তত ৩০ থেকে ৩৫ জন রোগী আসে। গতকাল বৃহস্পতিবার হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ৬২ জন, তার মধ্যে শিশুর সংখ্যা ১১ জন।
উলিপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মেহেরুল ইসলাম বলেন, শীতজনিত রোগ বাড়লেও চিন্তিত হওয়ার কিছু নেই। শিশুদের ঠাণ্ডাজনিত রোগ থেকে সুরক্ষা দিতে অভিভাবকদের সচেতনতা অবলম্বনের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মেশকাতুল আবেদ বলেন, হাসপাতালটি ৩১ শয্যা থেকে ধীরে ধীরে ৫০ শয্যায় রূপান্তরিত হলেও কিন্তু ভবন বাড়েনি। যার কারণে এখনো আলাদাভাবে শিশু ও ডায়রিয়া ওয়ার্ড নেই। হাসপাতালে বিশেষ করে শিশু বিশেষজ্ঞ ও গাইনি ডাক্তার নেই। তবু সীমিত জনবল দিয়েও রোগীদের যথাসাধ্য চিকিৎসাসেবা দেওয়া হচ্ছে।
"