পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার কালাইয়া হায়াতুন্নেচ্ছা বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে হঠাৎ একে একে ২২ শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।

অসুস্থদের মধ্যে ১০ জনকে বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। তারা হলো কবিতা, হাসিবা, শ্রীময়ন্তী, মারিয়া, সেতু, ফাইয়না, সামিয়া, মারিয়া, জান্নাত ও মাহিয়ানি। ঘটনার সময় প্রধান শিক্ষক ও সহকারী প্রধান শিক্ষকসহ অনেক শিক্ষকই স্কুলে অনুপস্থিত ছিলেন।

সরেজমিন জানা গেছে, বৃহস্পতিবার দুপুর ১টার দিকে সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী আফিফা আক্তার নূহা শ্রেণিকক্ষে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ে। এরপর একই শ্রেণির অনিমা, ফাতেমা, মারিয়া, হাসিবা, পায়েল, শ্রীময়ন্তী, মরিয়ম, আজমিন এবং নবম শ্রেণির লিয়া লামিয়া অসুস্থ হয়ে পড়ে। এ সময় স্কুলে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লে অন্য শিক্ষার্থীরা বাড়ি ফিরতে শুরু করে। খবর পেয়ে অভিভাবক ও স্থানীয় সাংবাদিকরা স্কুলে ছুটে যান।

স্কুলে গিয়ে দেখা গেছে, একাধিক শিক্ষার্থী মাঠে গড়াগড়ি করে কান্নাকাটি করছে। সহপাঠীরা তাদের মাথায় পানি দিচ্ছে। কেউ বাড়ি ফেরার জন্য রিকশা খুঁজছে। অসুস্থ শিক্ষার্থীরা জানায়, সপ্তম শ্রেণি কক্ষে প্রথমে বিশ্রি গন্ধ পাওয়া যায়। এরপরই তাদের মাথা ও বমিবমি ভাব শুরু হয়। দুপুর ২টার দিকেও স্কুল কর্তৃপক্ষ কোনো চিকিৎসককে খবর দেয়নি। এ সময় স্থানীয় সংবাদকর্মীদের মাধ্যমে খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. বশির গাজী স্কুলে চিকিৎসক পাঠান। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষিকা জানান, বিষয়টি প্রধান শিক্ষক ও সহকারী প্রধান শিক্ষককে জানালে তারা অসুস্থ শিক্ষার্থীদের বাড়ি পাঠানোর নির্দেশ দেন।

অপর একটি সূত্র জানায়, ঘটনার দিন শিক্ষার্থীদের মাঠে নামিয়ে বৃষ্টিতে ভিজিয়ে প্রত্যাহিক সমাবেশ ও জাতীয় সংগীত করানো হয়েছিল।

বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে আসা ডা. সাইফুর রহমান জানান, ‘গণমনস্তাত্ত্বিক রোগে’ এমনটা হয়েছে। অর্থাৎ একজন শিক্ষার্থীকে অ্যালার্জিজনিত বা অন্য কোনো কারণে অসুস্থ হতে দেখে অন্যরাও আতঙ্কে অসুস্থ হয়ে পড়েছে।

"