মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি

  ২৬ জানুয়ারি, ২০২৪

ফেরি উদ্ধার দ্বিতীয় মাস্টার বরখাস্ত

আট দিন পর মানিকগঞ্জের পাটুরিয়ায় ৫ নম্বর ঘাটের অদূরে ডুবে যাওয়া ইউটিলিটি ফেরি রজনীগন্ধা উদ্ধার করা হয়েছে। ফেরির দ্বিতীয় মাস্টার আঞ্জুমানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। ফেরির উদ্ধার অভিযানও আনুষ্ঠানিভাবে সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) চেয়ারম্যান ড. এ কে এম মতিউর রহমান সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

বিআইডব্লিউটিসির চেয়ারম্যান বলেন, উদ্ধার হওয়া ফেরি রজনীগন্ধার খুব বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। ফেরিটি নারায়ণগঞ্জের ডকইয়ার্ডে নেওয়া হবে। আশা করছি, ফেরিটি চালিয়ে নিয়ে যাওয়া যাবে। সেটি না হলে অন্য কোনো নৌযান দিয়ে টেনে নিয়ে যাওয়া হবে। ফেরির উদ্ধারকাজ আনুষ্ঠানিকভাবে সমাপ্ত করা হলো। ফেরিডুবির ঘটনায় দুই দিন আগেই ফেরির দ্বিতীয় মাস্টার আঞ্জুমানকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। ঠিক কী কারণে ফেরি ডুবেছে সেটি তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর জানা যাবে।

এর আগে গত বুধবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে ডুবে যাওয়া ফেরি রজনীগন্ধাকে পানির উপরিভাগ থেকে টেনে পাটুরিয়া ফেরিঘাটে নদীর তীরে ভেড়ানো হয়।

নৌবাহিনীর ডুবুরি দলের প্রধান লেফটেন্যান্ট শাহ পরান বলেন, নৌবাহিনী, ফায়ার সার্ভিস এবং বিআইডব্লিউটির ডুবুরি দলের সদস্যরা যৌথভাবে কাজ করে প্রায় ৫০ ফুট পানির নিচে থাকা ফেরিটি উঠিয়ে ভাসমান অবস্থায় ‘ইয়ার লিফটিং ব্যাগ’ এবং ‘ওয়্যার রোপ’ (শক্তিশালী তামার তার) দিয়ে ধরে রাখা হয়। পরে বুধবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে ফেরিটি সোজা করে উদ্ধারকারী জাহাজ প্রত্যয়ের মাধ্যমে টেনে পাটুরিয়া ঘাটে ভেড়ানো হয়। এখন সেখানেই ফেরিটি নোঙর করে রাখা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, ১৭ জানুয়ারি দৌলতদিয়া ঘাট থেকে ছেড়ে আসা ফেরিটি সকাল সাড়ে ৮টার দিকে পাটুরিয়া ৫ নম্বর ফেরিঘাটের অদূরে প্রায় ৩০০ মিটার দূরে ছোট-বড় ৯টি যানবাহন এবং চালক-হেলপারসহ ২১ জন ব্যক্তিকে নিয়ে ডুবে যায়। এ ঘটনায় ২০ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়। ফেরির সহকারী ইঞ্জিন মাস্টার হুমায়ন কবির নিহত হন।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close