কমলগঞ্জ (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি

  ২৪ জানুয়ারি, ২০২৪

দুর্ভোগে চা শ্রমিক

শীতে মিলছে না চটের বস্তাও

যতই শীত পড়ুক, চা বাগান শ্রমিকদের কাজ করতে হয়। কয়েক বছর আগেও এসব শ্রমিকদের চাহিদা অনুযায়ী বাগান কর্তৃপক্ষ শীত নিবারণের জন্য চটের বস্তা বিতরণ করতেন। এখন তাও মিলছে না। শীতে বয়স্ক ও শিশুদের রেহাই মিলছে না ঠান্ডাজনিত রোগের। চা শ্রমিকরা জানান, স্বল্প মজুরিতে কোনোমতে খাওয়া চলে, গরম কাপড় কেনা সামর্থ্যের বাইরে। খড়খুঁটো জ্বালিয়ে কিছু সময় শীত নিবারণ করা চলে।

তীব্র শীতে চরাঞ্চলের মানুষসহ উত্তরাঞ্চলের শ্রমজীবীরা সবচেয়ে দুর্ভোগে থাকেন। কখনো কখনো বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন ও জনপ্রতিনিধিরা তাদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করেন। কিন্তু আলোচনার প্রায় বাইরেই থাকেন এসব চা শ্রমিকরা।

শমশেরনগর দেওছড়া চা বাগানের নারী শ্রমিক মায়া রবিদাস ও লক্ষ্মী রবিদাস বলেন, ‘চা বাগানের শ্রমিকদের মজুরি ১৭০ টাকা। এ টাকা থেকে কারেন্ট বিল, মন্দির চাঁদা, ইউনিয়নের চাঁদা কেটে রাখা হয়। সপ্তাহে ৮০০ টাকা পাওয়া যায়, এ টাকায় খাবার দাবারই করতে পারি না। শীতবস্ত্র কিনব কেমন করে। ঠান্ডায় বেশি কষ্ট হয়।’

শমশেরনগর চা বাগানের শ্রমিক স্বপন গোয়ালা, আদরমনি মৃধা বলেন, দৈনিক মাত্র ১৭০ টাকা মজুরিতে পাঁচ, সাত সদস্যের পরিবারের সংসারে নুন আনতে পান্তা ফুরোয়। খাইবো কি আর কাপড় চোপড় কিনবোই বা কি? বাজারে জিনিসপত্রের যে দাম, এতে গরম কাপড় কেনা মোটেও সাধ্য নেই।

শমশেরনগর কানিহাটি চা বাগানের শ্রমিক নেতা সীতারাম বীন, দেওছড়া চা বাগান পঞ্চায়েত সভাপতি শংকর রবিদাস ও চা শ্রমিক সংঘের নেতা রাজদের কৈরী বলেন, শীতে চা শ্রমিকদের মধ্যে বাগান কর্তৃপক্ষ কোনো শীতবস্ত্র বিতরণ করেন না। অধিকাংশ শ্রমিক পরিবার সদস্যরা শীতে কষ্ট পোহাচ্ছেন। তাছাড়া চা বাগানগুলোর ডিসপেনসারিতে ভালো চিকিৎসা সুবিধাও নাই।

কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মাহবুবুল আলম ভূঁইয়া বলেন, শীতের কারণে ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা কিছুটা বেড়েছে। এদের মধ্যে চা বাগানে বেশি।

শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র পর্যবেক্ষক আনিসুর রহমান বলেন, মঙ্গলবার সকাল ৯টায় শ্রীমঙ্গলে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close