একদিকে তীব্র গরম অন্যদিকে ঘন ঘন লোডশেডিং- সব মিলিয়ে বিপর্যস্ত জনজীবন। রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে যখন এমন জনদুর্ভোগের খবর চাউর তখন তার ঠিক উল্টো চিত্র সিলেট নগরে। দিন-রাত ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ২০ মিনিটও লোডশেডিং হচ্ছে না সিলেটে। নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সেবা পাচ্ছেন নগরের মানুষ। সারা দেশের মানুষ নজিরবিহীন দুর্ভোগ পোহালেও সিলেট নগরের মানুষের এমন স্বস্তির নেপথ্যে রয়েছেন আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী। আসন্ন সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী তিনি। আনোয়ারুজ্জামানের একক প্রচেষ্টায় সিলেট নগরীতে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করছে বিদ্যুৎ বিভাগ।

অবশ্য তাপমাত্রা বেশি থাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ থাকলেও অস্বস্তি বিরাজ করছে জনজীবনে। বুধবার সিলেটে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগের দিন মঙ্গলবার তাপমাত্রা ছিল ৩৭ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। চলমান তাপপ্রবাহ আরো পাঁচণ্ডছয় দিন চলতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

গরমের সঙ্গে সারা দেশে চলছে লোডশেডিং। নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন মানুষজন। সিলেটের প্রত্যন্ত এলাকাতেও একই অবস্থা। দিনে বেশিরভাগ সময় বিদ্যুতের দেখা মিলে না।

সারা দেশে এমন ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যে পুরো ব্যতিক্রম চিত্র সিলেট নগরীতে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মাত্র ২০ মিনিটও লোডশেডিং হয় না। কোনো কোনো এলাকায় দিন রাত মিলিয়ে ১ মিনিটের জন্যও লোডশেডিং হচ্ছে না। বিদ্যুৎ বিভাগের এ নিরবচ্ছিন্ন সেবার পেছনে কাজ করছেন সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী। তার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় তীব্র গরমের মধ্যেও নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সেবা পাচ্ছেন সিলেট নগরবাসী।

আনোয়ারুজ্জামানের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির মিডিয়া উপকমিটি জানায়, সিলেট নগরে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতে সার্বক্ষণিক তদারকি করছেন আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী। বিদ্যুৎ নিয়ে কাজ করতে দুজন ব্যক্তিকে নিয়োগও দিয়েছেন তিনি। তারা প্রতিদিন নগরে বিদ্যুতের চাহিদা ও সরবরাহ নিয়ে খোঁজ-খবর রাখছেন এবং সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলছেন। তাছাড়া আনোয়ারুজ্জামান নিজেও বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ ও বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন।

এ প্রসঙ্গে সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী বলেন, ‘মেয়র পদে নির্বাচিত হলে সিলেটে ৩০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎপ্লান্ট স্থাপন করব। এটা হবে আমার সবচেয়ে বড় প্রকল্প। নির্বাচিত হলে এবং প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে, কোনো ধরনের বড় দুর্যোগ না হলে সিলেটবাসীকে আর লোডশেডিংয়ের দুর্ভোগ পোহাতে হবে না। তাছাড়া সিলেট নগরবাসীর সেবায় আমি সবসময় নিজেকে বিলিয়ে দেব।’

তবে নগরে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সেবার জন্য আনোয়ারুজ্জামানের উদ্যোগের কথা সরাসরি স্বীকার করেননি বিদ্যুৎ বিভাগ সিলেটের প্রধান প্রকৌশলী আবদুল কাদের। তিনি বলেন, নির্বাচন উপলক্ষে সব সিটিতে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে। এর পেছনে কারো না কারো উদ্যোগ রয়েছে। কারো হাত আছে। তবে আমরা নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের চেষ্টা করে যাচ্ছি।

তিনি বলেন, সিলেট নগরীতে বিদ্যুতের চাহিদাও খুব কম। প্রতিদিন ১৪০ থেকে ১৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুতের চাহিদা রয়েছে। সারা দেশে সংকটের কারণে আমরা ৫ থেকে ১০ মেগাওয়াট কম পাচ্ছি। এতে বড় আকারে লোডশেডিং হবে না।

এর আগে রমজান মাসে সিলেটে ঘন ঘন বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ের কারণে মারাত্মক দুর্ভোগের মধ্যে পড়েন নগরবাসী। এমন পরিস্থিতিতে বিদ্যুতের অসহনীয় লোডশেডিংয়ের ভোগান্তি থেকে সিলেটবাসীকে রক্ষা করতে উদ্যোগ নেন আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী। তিনি নগরীর বাগবাড়িতে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের অফিসে গিয়ে কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন। এ সময় কর্মকর্তারা তাদের ঘাটতির কথা আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীকে জানালে তিনি সঙ্গে সঙ্গে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপুর সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলে সিলেটের বিদ্যুতের ঘাটতি পূরণে অনুরোধ জানান। এরপর কমে যায় লোডশেডিং।

"