সাজাদুল ইসলাম, উলিপুর (কুড়িগ্রাম)

  ০৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

উলিপুর উপজেলা

ইউনিয়ন অংশের বেতন পাচ্ছে না গ্রামপুলিশ

কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলায় ১২০ জন গ্রামপুলিশ ৭ মাস ধরে বেতন-ভাতা পাচ্ছেন না। নিয়মিত বেতন-ভাতা না পাওয়ায় অনেকের ছেলেমেয়ের লেখাপড়া বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে। বন্ধ রয়েছে অসুস্থ বৃদ্ধ বাবা-মায়ের চিকিৎসা। তবে তাদের বেতনের সরকারি অংশ তারা পাচ্ছেন। বাকি পড়েছে ইউনিয়ন অংশের টাকা।

গ্রামপুলিশ ও ইউএনও কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নে ১২০ জন গ্রামপুলিশ সদস্য রয়েছেন। তাদের মধ্যে ১২ জন দফাদার ও ১০৮ জন মহল্লাদার রয়েছেন। দফাদার প্রতি মাসে ৭ হাজার ও মহল্লাদার ৬ হাজার ৫০০ টাকা ভাতা পান। ভাতার অর্ধেক সরকারিভাবে এবং বাকি অর্ধেক উপজেলা পরিষদের রাজস্ব খাত থেকে দেওয়া হয়। বেতনের অর্ধেকের সরকারি অংশ নিয়মিত পেলেও উপজেলা পরিষদের বাকি অংশের ভাতা দীর্ঘ ৭ মাস বকেয়া থাকায় গ্রামপুলিশ সদস্যরা পরিবার-পরিজন নিয়ে অতিকষ্টে জীবনযাপন করছেন। 

গুনাইগাছ ইউনিয়নের গ্রামপুলিশ মোস্তাফিজার রহমান বলেন, আমরা ইউপির অংশের ভাতা ৭-৮ মাস থেকে পাই না। আমাদের সংসার চালানো খুবই মুশকিল হয়ে পড়েছে। আমরা সামান্য বেতন পাই, তাও নিয়মিত পাই না। ঠিকভাবে বাবা-মায়ের চিকিৎসা করাতে পারি না, সন্তানদের স্কুলে দিতে পারি না, পোশাকপাতি দিতে পারি না। দিনরাত আমাদের কাজে ব্যস্ত থাকতে হয়। কখনো চেয়ারম্যান ডাকেন, একসময় মেম্বার ডাকেন, একবার থানা ডাকে আবার কোনো সময় ইউনও ডাকেন। সামন্য বেতনটুকু না পেয়ে খুব কষ্টে আছি।

গ্রামপুলিশ ইউনিয়নের সভাপতি সচীন চন্দ্র বলেন, সরকারি অংশের ভাতা নিয়মিত পাচ্ছি। কিন্তু উপজেলা পরিষদের রাজস্ব খাতের অংশ দীর্ঘ সাত মাস থেকে পাচ্ছি না। ফলে আমরা নিয়মিত ভাতা না পেয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে চরম দুর্ভোগে পড়েছি। গ্রামপুলিশ ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক শাহআলম সরকার বলেন, আমরা সরকারের কর্মচারী বটে, সরকার আমাদের দিয়ে সব কাজ করিয়ে নিচ্ছে, আমরাও দায়িত্ব মতো জন্মনিবন্ধন থেকে শুরু করে মৃত্যু পর্যন্ত সব কাজ করছি। ইউনিয়ন পরিষদে দায়িত্ব পালন করি, থানায় হাজিরা দিই ও ইউএনও অফিসে রোল কলে যাই, যখন যেখানে ডাকে যথাসময়ে যাওয়ার চেষ্টা করি ও সেই কাজগুলো করি। তিনি আরো জানান, সরকার যে আমাদের বাহিনী স্বীকৃতি দিয়েছে আমরা বাহিনীর যে একটা ন্যায্যমূল্যের প্রাপ্য টাকা পাব, জাতীয় স্কেলে অন্তর্ভুক্ত হব আজও আমরা অন্তর্ভুক্ত হইনি। সমান্য বেতনটুকুও ৭ মাস থেকে না পেয়ে আমরা অনেক কষ্টে জীবনযাপন করছি।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার শোভন রাংসা এ বিষয়ে বলেন, সরকারি অংশের ভাতা রয়েছে। ইউপি অংশের টাকা না থাকলে কোথায় থেকে দেব। যেহেতু সামনে হাট-বাজারের ইজারা রয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদের টাকা এলে আমরা দিয়ে দেব।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close