আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, জনবিচ্ছিন্ন বিএনপি ২০১৩, ১৪, ১৫ সালে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছিল, ২০১৮ সালেও নৈরাজ্য সৃষ্টির অপচেষ্টা চালিয়েছিল। এখনো তারা একই পথে হাঁটছে। এই পথে হেঁটে বিএনপির কোনো লাভ হবে না।

বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর বসুন্ধরায় একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে নবীনবরণ ও পরিচিতি অনুষ্ঠানে বক্তৃতা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।

বিএনপির সাম্প্রতিক মিছিল-সমাবেশ নিয়ে প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী হাছান বলেন, বিএনপির বাঁশের লাঠি, কাঠের লাঠি, লোহার রড নিয়ে মিছিল করছে। তারা অতীতে জনগণ ও পুলিশের ওপর হামলা পরিচালনা করেছে, মুন্সীগঞ্জে পুলিশের ওপর হামলা পরিচালনা করেছে। ফলে সহজেই অনুমেয় এখন তারা নিজেরা আতঙ্কিত এবং তারা আবার নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে চাচ্ছে।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপি জানে যে, জনগণ তাদের সঙ্গে নেই। এমনকি তাদের প্রান্তিক কর্মীরাও সঙ্গে নেই। তাদের কর্মসূচি শুধু ঢাকা এবং কিছু কিছু শহরভিত্তিক। গ্রামেগঞ্জে তাদের কর্মীদের কোনো সাড়া নেই। কারণ নেতাদের ওপর তাদের কোনো আস্থা নেই। এজন্য তারা নিজেরা আতঙ্কিত। আর জনগণ তাদের কাছ থেকে সরে গেছে, সেটি তারা ভালো করেই জানে ও বুঝে। সেজন্য তারা দেশে একটা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চায়।

তিনি বলেন, কেউ যদি রাষ্ট্রের কোনো এলাকায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপচেষ্টা চালায়, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। পুলিশ সেই ব্যবস্থা মাঝেমধ্যে গ্রহণ করে যখন তারা পুলিশের ওপর চড়াও হয়। সে কারণে বিভিন্ন জায়গায় পুলিশের সঙ্গে তারা সংঘর্ষে জড়িয়েছে আবার নিজেরা নিজেরা মারামারি করে চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন জায়গায় নিজেদের সমাবেশ ভন্ডুল করেছে।

এ অবস্থায় আমাদের দলের কর্মীদের আমরা সতর্ক পাহারায় থাকার জন্য নির্দেশনা দিয়েছি; যাতে কেউ যদি জনগণের ওপর হামলা পরিচালনা করে, জনগণ প্রতিরোধ করলে সঙ্গে আমাদের দলও সহায়তা করবে জানান আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান।

নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. আতিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক ড. আব্দুল হান্নান চৌধুরী, অধ্যাপক ড. আব্দুর রব খান, অধ্যাপক ড. জাভেদ বারী, অধ্যাপক ড. হাসান মাহমুদ রেজা, ট্রাস্টি বোর্ড সদস্য ইয়াসমিন কামাল প্রমুখ।

"