কক্সবাজার প্রতিনিধি

  ০৭ জুলাই, ২০২২

ছাত্রলীগ নেতা ফয়সাল হত্যায় অংশ নেয় ১৫-২০ জন

হঠাৎ সামনে এসে সিএনজি অটোরিকশা আটকানো হয় ফয়সালের। এরপর কুপিয়ে ৫ থেকে ১০ মিনিটে খুন করে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। আর এতে আজিজ সিকদারের নেতৃত্বে অংশ নেয় ১৫ থেকে ২০ জন।

গতকাল বুধবার সকালে ছাত্রলীগ নেতা ফয়সাল হত্যার প্রধান আসামি আজিজ সিকদারের প্রাথমিক স্বীকারোক্তির উদ্ধৃতি দিয়ে র‌্যাব-১৫ এর উপ-অধিনায়ক মেজর মঞ্জুর মেহেদি এই তথ্য জানান।

ঘটনার পরপরই র‌্যাব অভিযান চালিয়ে ছাত্রলীগ নেতা ফয়সাল উদ্দিন হত্যা মামলার প্রধান আসামি আজিজ সিকদার ও ফিরোজ আলমকে আটক করে। তাদের আটকের বিষয়ে বুধবার সকালে ব্রিফিং করে র‌্যাব। সেখানে এ তথ্য জানানো হয়।

আটক আজিজ সিকদার খুরুশকুল ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের মৃত বাঁচা মিয়া সিকদারের ছেলে এবং ফিরোজ আলম একই এলাকার সিরাজুল হক সিকদারের ছেলে।

মেজর মঞ্জুর মেহেদি জানান, এই হত্যাকাণ্ড সংঘবদ্ধভাবেই করা হয়েছে। তবে এখনো পর্যন্ত হত্যার মূল উদ্দেশ্য কী সেটা জানা যায়নি। এই হত্যার সময় ব্যবহৃত অস্ত্রগুলো উদ্বারের চেষ্টা চলছে।

তিনি জানান, আজিজ ও ফিরোজ প্রাথমিকভাবে হত্যার দায় স্বীকার করেছে। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে আরো অনেকের সংশ্লিষ্টতা থাকতে পারে বলে প্রাথমিক জিজ্ঞেসাবাদে জানতে পারি। তাই এ বিষয়টিও গভীরভাবে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

আটক আসামিদের কক্সবাজার সদর মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানায় র‌্যাব।

গত রবিবার কক্সবাজার সদরের খুরুশকুল ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন থেকে ফেরার পথে কুপিয়ে খুন করা হয় সদর উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল উদ্দিনকে।

এই ঘটনায় মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে সদর মডেল থানায় নিহত ফয়সালের বড়ভাই নাছির উদ্দীন বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলায় ১৭ জনের নাম উল্লেখ অজ্ঞাত আরো ৭/৮ জনকে আসামি করা হয়।

এদিকে ঘটনার দিন অভিযান চালিয়ে পুলিশ ছয়জনকে আটক করেছিল।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close