কায়সার হামিদ মানিক, উখিয়া (কক্সবাজার)

  ০৪ জুলাই, ২০২২

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অভিযান

ছয় মাসে ৪ লাখ ইয়াবা জব্দ, গ্রেপ্তার ২৯

কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বে নিয়োজিত ১৪ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন গত ৬ মাসে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অভিযান চালিয়ে ৪ লাখ ইয়াবা ১৫টি দেশি-বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার ও ১ হাজার ৪১৬ জন ও সাতটি হত্যা মামলার ২৯ জন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে। গতকাল রবিবার সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেন ১৪ এপিবিএন অধিনায়ক মো. নাইমুল হক। তিনি বলেন, ৩৩টি রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ১৫টি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নিরাপত্তা দিয়ে আসছে ১৪ এপিবিএন। রোহিঙ্গা দুষ্কৃতিকারীদের দমনে ১৪ এপিবিএন সব সময় সাহসী সব পদক্ষেপ নিয়ে আসছে। দীর্ঘদিন রোহিঙ্গা ক্যাম্প শান্ত থাকার পর গত মাসে ১৪ এপিবিএনের আওতাধীন এলাকায় ৩টি মার্ডার হয়। হত্যাকাণ্ড হওয়ার পরপরই মামলা রুজু হওয়ার পর ১৪ এপিবিএন পুলিশ দৃপ্ত পদক্ষেপে এজাহার নামীয় অধিকাংশ আসামিকে গ্রেপ্তার করে। হত্যাকাণ্ডের পর আসামিদের গ্রেপ্তার এবং তথাকথিত বিভিন্ন গ্রুপের সদস্যদের গ্রেপ্তারে ১৪ এপিবিএন স্থায়ী চেকপোস্টসহ বিভিন্ন স্থানে অস্থায়ী চেকপোস্ট, ফিক্সড পোস্ট, ব্লক রেইডসহ বিভিন্ন ধরনের বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে আসছে।

মাদক, অস্ত্র উদ্ধারের বিষয়ে তিনি বলেন, ২০২২ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত ১৪ এপিবিএন পুলিশ রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আইনশৃঙ্খলা সমুন্নত এবং স্থিতিশীল রাখার স্বার্থে বিভিন্ন ধরনের অভিযান পরিচালনা করে। গত ছয় মাসে এ পর্যন্ত ৩টি বিদেশি পিস্তল, ১২টি দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র, ২০ রাউন্ড গুলি, ১৭ রাউন্ড কার্তুজ , ৩টি ম্যাগাজিন, ২০০ এর অধিক বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। এ সংক্রান্তে গত ৬ মাসে ১৫টি অস্ত্র মামলা রুজু হয় এবং ১৯ জন অবৈধ অস্ত্রধারীকে গ্রেপ্তার করা হয়। ক্যাম্প এলাকায় ডাকাতি করার মুহূর্তে ডাকাতদের গ্রেপ্তার করে ১০টি ডাকাতি প্রস্তুতি মামলা রুজু করে এবং ৫২ জন রোহিঙ্গা দুষ্কৃতিকারীকে আটক করে। চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে গত ছয় মাসে ৩ লাখ ৯৩ হাজার ৫১৯ পিস ইয়াবা, গাঁজা ৩ কেজি ৬৯ গ্রাম, বিয়ার ক্যান ১৮৮, ১২ বোতল হুইস্কি, বাংলা মদ ৬ হাজার ২৫৪ মিলি ও মাদক ক্রয়-বিক্রয়ের ৯ লাখ ৩৬ হাজার ৭৩০ টাকা উদ্ধার করা হয়। এ সংক্রান্তে মামলা রুজু করা হয় ১৫৪টি এবং ২০৩ জন আসামিকে গ্রেপ্তার করে কোর্টে পাঠানো হয়।

নাইমুল হক আরো জানায়, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে চোরাকারবারিদের বিরুদ্ধেও নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে আসছে ১৪ এপিবিএন। গত ৬ মাসে এ পর্যন্ত ২২৬ গ্রাম স্বর্ণ, ১২ হাজার ৮৪০ কেজি চাল, ১ হাজার ১৯৫ কেজি চিনি, ১ হাজার ৮২৩ লিটার সয়াবিন তেল, ৮১৪ কেজি ডাল, ২১৭ কেজি সুজিসহ আরো অনেক চোরাচালান পণ্য আটক করে। ৫৬১ জন রোহিঙ্গাকে মোবাইল কোর্ট দ্বারা ৫ লাখ ১ হাজার ৩০০ টাকা জরিমানা করা হয় এবং ৫৪ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা প্রদান করা হয়। ১৫টি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিভিন্ন অভিযান পরিচালনা করে গত ছয় মাসে ২০১ একটি মামলা করে এবং ১৪১৬ জন রোহিঙ্গা দুষ্কৃতিকারীকে আটক করা হয়। যার মধ্যে কথিত আরসার সদস্য রয়েছে ৪১৪ জন এবং মুন্না গ্রুপের সদস্য রয়েছে ৯ জন।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close