নিজস্ব প্রতিবেদক

  ২৭ মে, ২০২২

অর্থ পাচার, প্লট বরাদ্দে অনিয়ম

রাজউকের কর্তারা দুদকের জালে

পাঁচ হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার এবং পূর্বাচল কনভেনশন লিমিটেডে প্লট বরাদ্দে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ খতিয়ে দেখতে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। অভিযোগে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) সাবেক চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নাম রয়েছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ২৪ মে কমিশন থেকে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শিগগিরই অনুসন্ধান টিম গঠন করা হবে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুদকের ঊর্ধ্বতন একটি সূত্র সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। দুদকের বিশেষ অনুসন্ধান শাখা অভিযোগগুলো অনুসন্ধান করবে।

দুদক পরিচালক (দৈনিক ও সাম্প্রতিক অভিযোগ সেল) উত্তম কুমার মণ্ডল সই করা এক চিঠি বলা হয়েছে, রাজউকের এস্টেট শাখার কয়েকজন চিহ্নিত দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের যোগসাজশে সৈয়দা ফেরদৌসী আলম নীলার কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা ঘুষ নিয়ে পূর্বাচল কনভেনশন লিমিটেডের নামে বরাদ্দকৃত প্লট নিয়মবহির্ভূত ও অবৈধভাবে নাম পরিবর্তন করা হয়েছে। নতুন নাম দেওয়া হয়েছে পূর্বাচল নীলা কনভেনশন লিমিটেড। একই সঙ্গে কনভেনশন লিমিটেডের নামে বরাদ্দসহ উচ্ছেদ অভিযানের নামে ঘুষ গ্রহণ, নামে-বেনামে কোটি কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও বিদেশে ৫ হাজার কোটি টাকা পাচারের অভিযোগ উঠেছে।

চিঠিতে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) সাবেক চেয়ারম্যান মো. আবদুুর রহমান ও অন্যদের বিরুদ্ধে দুদকে দাখিল করা অভিযোগের সঙ্গে এ অভিযোগটি অনুসন্ধানের জন্য কমিশন থেকে সিদ্ধান্তের কথা বলা হয়। আর অভিযোগটি ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে দাখিল করা হয়েছিল বলে জানা গেছে।

অন্য একটি সূত্রে জানা যায়, আলোচিত ঠিকাদার জি কে শামীমসহ বিভিন্ন ঠিকাদারি কাজের সঙ্গে যুক্ত থেকে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যান আবদুর রহমানের বিরুদ্ধে পৃথক আরো একটি অনুসন্ধান ২০১৯ সাল থেকে চলমান রয়েছে। ওই অভিযোগে বিভিন্ন অনিয়মের মাধ্যমে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ, ক্যাসিনো ব্যবসা করে শত শত কোটি টাকা অবৈধ প্রক্রিয়ায় অর্জন করে বিদেশে পাচার ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের কথা বলা হয়েছিল। দুদক পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেনের নেতৃত্বে একটি টিম ওই অভিযোগ অনুসন্ধানের দায়িত্ব পালন করছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close