reporterঅনলাইন ডেস্ক
  ২১ জানুয়ারি, ২০২২

মেয়রের উন্নয়ন ভাবনা

পরিকল্পিত নগর গড়ব

সন্ত্রাসী কার্যকলাপ, চাঁদাবাজি, মাদক ও দুর্নীতিমুক্ত পরিকল্পিত, পরিচ্ছন্ন ও সুন্দর শহর গড়তে চাই। অতিরিক্ত গৃহায়নের ফলে পৌরসভার সর্বত্র শতভাগ বিদ্যুতায়নের মাধ্যমে শহরকে আরো আলোকিত করাই আমার লক্ষ্য। আমি যখন মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পাই এ পৌরসভায় সোলার ও ইলেকট্রিক সড়ক বাতি ছিল মাত্র ১৬৮টি। সেখান থেকে এখন ১ হাজার ২০০রও অধিক স্থাপন করতে পেরেছি আমরা। শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনে নির্মাণ করা হচ্ছে আরসিসি ড্রেন। সুপেয় পানি সরবরাহ করতে নতুন পাইপ লাইন স্থাপনসহ ব্যাপক উন্নয়ন কাজ চলমান রয়েছে। আমি নাগরিকদের সেবার মান বাড়াতে রীতিমতো যুদ্ধ করে যাচ্ছি।

প্রতিদিনের সংবাদকে এ কথাগুলো বলছিলেন চৌগাছা পৌরসভার মেয়র নুর উদ্দিন আল মামুন হিমেল। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন চৌগাছা (যশোর) প্রতিনিধি মো. ইয়াকুব আলী।

২০০৪ সালে চৌগাছা এ পৌরসভাটি স্থাপিত হয়। পৌরসভার প্রথম পৌর প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব পান সাবেক মেয়র সেলিম রেজা আওলিয়ার। চৌগাছা পৌরসভার আয়তন ১১.৬৯ বর্গকিলোমিটার, মৌজা ছয়টি। বর্তমানে এ পৌরসভায় ৯টি ওয়ার্ডে প্রায় লাখো মানুষের বসবাস। উপজেলা যুবলীগ নেতা নুর উদ্দিন আল-মামুন হিমেল গত বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি পৌরসভা নির্বাচনে দ্বিতীয় বারের মতো মেয়র নির্বাচিত হন।

মেয়র হিমেল বলেন, আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই পৌরবাসীর সেবার মান ও সুযোগ-সুবিধা বাড়াতে কাজ করে যাচ্ছি। সড়ক বাতি, বাজার ও ড্রেন ব্যবস্থাপনা, সড়ক সংস্কার, পৌর কবরস্থানের উন্নয়ন ও সড়ক প্রশস্তকরণ এবং শহরকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এছাড়া সামাজিক উন্নয়নেও কাজ করে যাচ্ছি। মাতৃত্বকালীন, বৃদ্ধ ও বয়স্কভাতা দিয়ে যাচ্ছি। পৌরসভায় পাইপ লাইনে পানি সরবরাহ, কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, মশা-মাছি নিধনের ব্যবস্থা, স্যানিটেশন ব্যবস্থা, বিনোদনের জন্য শিশুপার্ক, পৌরপার্ক, আধুনিক বাস টার্মিনাল নির্মাণ ও পশুহাটের জমি ক্রয়সহ প্রায় ৭৩ কোটি টাকার উন্নয়ন কাজ চলমান।

পৌর মেয়র আরো বলেন, পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডে কপোতাক্ষ নদের পশ্চিম পাশে পৌর পার্কের জন্য ৬০ শতক জমি ক্রয়, কংশারীপুরে পশু হাট স্থাপনে ৪০ শতক জমি ক্রয়, জিওলগাড়ি এলাকায় বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য জমি ক্রয় ১২৩ শতক, ৫ নম্বর ওয়ার্ড বিশ্বাস পাড়ায় পানি শোধনাগারের জন্য ৪৬ শতক জমি ক্রয়, পানি সরবরাহ করতে ২৯ কিলোমিটার পাইপ লাইন নেটওয়ার্ক সৃষ্টি ও স্যানিটেশন সুবিধা, ওভার হেড ট্যাংকি নির্মাণ, পৌরসভা চত্বর উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন ও বিশ্বাসপাড়ায় তিনটি পাম্প হাউস নির্মাণ, পাবলিক টয়লেট নির্মাণ, পৌর অভ্যন্তরে পানি শাখার জন্য দ্বিতল ভবন নির্মাণসহ বিভিন্ন কাজ চলছে। যার ব্যয় ৬২ কোটি টাকা। এছাড়া উপজেলা পরিষদ চত্বর, ইছাপুর পূর্বপাড়া মসজিদ থেকে ভৈরব নদ পর্যন্ত রাস্তা নির্মাণ, ইছাপুর থেকে উপজেলা পরিষদ সংলগ্নসহ পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডে প্রায় ১১ কোটি টাকার কাজ এরই মধ্যে শেষ হয়েছে। পৌরসভার সৌন্দর্য বাড়াতে শহরের বেশ কয়েকটি স্থানে পানির ফোয়ারা স্থাপনেরও আমার পরিকল্পনা আছে। এছাড়া অনেক কার্যক্রম এখনো বাকি রয়েছে। সেগুলো আমরা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে করে যাচ্ছি। খুব শিগগিরই এই কাজ শেষ করব ।

জন ভোগান্তি প্রসঙ্গে মেয়র নুর উদ্দিন আল মামুন হিমেল বলেন, পৌর বাস টার্মিনাল নির্মাণের মাধ্যমে পৌরবাসীর যোগাযোগ ব্যবস্থার আরো উন্নয়ন করা হবে। পৌরবাসী আমাকে মেয়র হিসেবে দায়িত্ব দেওয়ার পর সুদূরপ্রসারী যুগোপযোগী পরিকল্পনা গ্রহণ করে যে সব এলাকায় রাস্তা খানাখন্দে ভরা ছিল সেগুলো এরই মধ্যে সংস্কার করেছি।

মেয়র নুর উদ্দিন আল মামুন হিমেল বলেন, করোনাকালীন সরকারি নির্দেশনা ও স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে পালনে পৌর নাগরিকদের সচেতন করতে প্রচার চালিয়েছি। করোনার সংকটকালীন সময়ে আমরা পৌরসভার উদ্যোগে বিনামূলে অক্সিজেন সেবা দিয়েছিলাম। গত বছর করোনায় মৃত্যুর অধিকাংশই অক্সিজেন স্বল্পতার কারণে ঘটেছিল। করোনা আক্রান্ত রোগীর স্বজনরা একটি অক্সিজেন সিলিন্ডারের জন্য ছুটে বেড়িয়েছেন বিভিন্ন স্থানে। সে সব মানুষের কথা চিন্তা করেই এই সেবা দিয়েছি।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close